Khaleda Zia: জেলে ফিরছেন না এখনই, আরও ৬ মাস বাড়ল খালেদা জিয়ার সাজা-মুক্তির মেয়াদ

Stay on Khaleda Zia sentence : ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার তৃতীয় দফার সাজা স্থগিতের মেয়াদকাল শেষ হওয়ার কথা ছিল। এখন তা আরও ৬ মাসের জন্য বাড়ানো হয়।

Khaleda Zia: জেলে ফিরছেন না এখনই, আরও ৬ মাস বাড়ল খালেদা জিয়ার সাজা-মুক্তির মেয়াদ
গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়া
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2021 | 3:25 PM

ঢাকা : বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia)সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হল। গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান (Asaduzzaman Khan)।

এই নিয়ে চতুর্থবার খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হল। তবে আগের মতো সব শর্তই মেনে চলতে হবে বাংলাদেশের বিরোধী নেত্রীকে। এই শর্তগুলির মধ্যে অন্যতম হল, দেশের বাইরে পা রাখতে পারবেন না খালেদা জিয়া। দেশে থেকেই তাঁকে যাবতীয় চিকিৎসা করাতে হবে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, “তিনি (খালেদা জিয়া) দেশের মধ্যে যেখানে চান চিকিৎসা করাতে পারেন।”

উল্লেখ্য এর আগে একাধিকবার খালেদা জিয়ার পরিবার নেত্রীর স্থায়ী মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছে। গতকালের সাংবাদিক বৈঠকে সেই সংক্রান্ত বিষয়েও কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর সাফ কথা, স্থায়ী মুক্তি চাইলে, তার জন্য আদালতে আবেজন জানাতে হবে।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পাঁচ বছরে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। ৮ ফেব্রুয়ারিই তাঁকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর নাম জড়ায় এবং তিনি আদালতে এক্ষেত্রেও দোষী সাব্যস্ত হন।

পরে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করা হয় সাময়িকভাবে। শর্তসাপেক্ষে সংশোধনাগারের চার দেওয়ালের থেকে মুক্তি পান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সেটি ছিল প্রথমবার। এরপর গতবছরের সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয়বার এবং ২০২১ সালের মার্চে তৃতীয়বার সাজা স্থগিত করা হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার তৃতীয় দফার সাজা স্থগিতের মেয়াদকাল শেষ হওয়ার কথা ছিল। এখন তা আরও ৬ মাসের জন্য বাড়ানো হয়।

এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে খালেদা জিয়ার শরীরে করোনার হদিশ পাওয়া যায়। প্রথমে বাড়িতে হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা চললেও পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। সেই সময় তাঁকে ঢাকার এক বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় দু’মাস হাসপাতালে ভরতি ছিলেন খালেদা জিয়া। আইসিইউতে রাখা হয়েছিল তাঁকে।

সেই সময় খালেদা জিয়ার পরিবারের তরফে, তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই আর্জি নাকচ করে দেয় শেখ হাসিনার সরকার। বাংলাদেশ আইন মন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেবে না।

আর এর পর থেকেই শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্যই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না আওয়ামি লিগের সরকার।

আরও পড়ুন : একটু ‘সময়’ দিলেই নাকি শান্তি ফেরাবে তালিবান! মহিলাদের অধিকার নিয়েও মুখ খুললেন ইমরান