COVID Vaccine: পদ্মাপারে এল আরও ৫০ লক্ষ টিকা, সঙ্কট কাটাতে চিনা সংস্থাতেই ভরসা হাসিনা সরকারের
Sinopharm Vaccine Reaches Bangladesh: প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কোভ্য়াক্সের আওতায় চিনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি করোনা টিকা কিনতে চলেছে বাংলাদেশ। আগামী অক্টোবর মাস থেকেই এই টিকা রফতানি শুরু হবে বাংলাদেশে।
ঢাকা: দেশের টিকা সঙ্কট মেটাতে আপাতত চিন(China)-র উপরই ভরসা রাখছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। এ দিন সকালেই চিন থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছয় ৫০ লক্ষ সিনোফার্ম(Sinopharm)-র করোনা টিকা (COVID Vaccine)। ঢাকায় অবস্থিত চিনা দূতাবাসের তরফেও এ কথা নিশ্চিত করা হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতেই ভারত থেকে লক্ষাধিক কোভিশিল্ড (Covishield) টিকা উপহার হিসাবে পাঠানো হয়েছিল। পরে সরাসরি সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গেও চুক্তি করে টিকার বরাত দেয় হাসিনার সরকার। কিন্তু দেশে টিকা সঙ্কট দেখা দেওয়ায় বিদেশে রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। শেষে চিনের কাছেই সাহায্য় চায় বাংলাদেশ। এপ্রিল মাস থেকেই বাংলাদেশে টিকা রফতানি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করে চিন।
২ মে চিন সরকারের উপহার হিসেবে সিনোফার্মের ৫ লক্ষ ডোজ় টিকা বাংলাদেশে আসে। সেটাই ছিল চিন থেকে আসা প্রথম টিকা। উপহারের টিকা দ্বিতীয়বার আসে ৬ লক্ষ ডোজ় টিকা আসে গত ১৩ জুন। ৩ জুলাই ও ৪ জুলাইও বিমানে ২০ লক্ষ ডোজ, ১৭ জুলাই ১০ লক্ষ ডোজ এবং ১৮ জুলাই ১০ লক্ষ ডোজ টিকা বাংলাদেশে পৌঁছয়।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কোভ্য়াক্সের আওতায় চিনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি করোনা টিকা কিনতে চলেছে বাংলাদেশ। আগামী অক্টোবর মাস থেকেই এই টিকা রফতানি শুরু হবে বাংলাদেশে। উল্লেখ্য, পিছিয়ে পড়া বা স্বল্প আয়যুক্ত দেশগুলিকে কমদামে টিকা সরবরাহের জন্যই কোভ্যাক্স প্রক্রিয়া চালুূ করা হয়েছে। বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার পাশাপাশি কমদামে বাণিজ্যিক রূপে টিকা কিনতেও বিভিন্ন দেশের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী রূপে কাজ করছে এই সংগঠন।
কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশের মোট ৬ কোটি টিকা বিনামূল্যে পাওয়ার কথা। এছাড়াও ১০ কোটি টিকা কেনার বরাত দেওয়া হয়েছে, সব মিলিয়ে মোট ১৬ কোটি টিকা পাবে বাংলাদেশ। এরমধ্যে এখনও অবধি মোট ১ কোটি ২৫ লক্ষ টিকা পেয়েছে। এ দিন সকালে আরও ৫০ লক্ষ টিকা এল। চিনের দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার চিনের তিয়ানজিয়াং বিমানবন্দর থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে ওই টিকা এসে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশকে টিকা দেওয়ার জন্য প্রয়োজন ২৬ কোটি টিকার ডোজ়ের। এরমধ্যে কোভ্যাক্সের অধীনে ১৬ কোটি টিকা পাওয়া যাচ্ছে। আলাদাভাবে সিনোফার্মের কাছ থেকে সাড়ে ৭ কোটি টিকা কিনছে বাংলাদেশ। সেরাম ইন্সটিটিউটকে যে ৩ কোটি টিকার বরাত দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ২ কোটি ৩০ লক্ষ টিকাই এখনও বকেয়া রয়েছে।
ভারত ও চিনের কাছ থেকে উপহার স্বরূপও ৭০ লক্ষ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে তাদের কাছে বর্তমানে প্রয়োজনর অতিরিক্ত টিকাই রয়েছে। এছাড়াও চিনের টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা সিনোফার্মের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টায় এই ভ্য়াকসিন তৈরি করবে বাংলাদেশ। গত মাসের শুরুতেই সে কথা জানান বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মেনন।