Drone Attack: ISIS-K জঙ্গি নয়, ভুল তথ্যেই ড্রোন হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ৭ শিশু সহ ১০ জনের, স্বীকার মার্কিন বাহিনীর

US Drone Attack in Kabul: পেন্টাগনের তরফে মার্কিন সেন্ট্রাল কম্যান্ডের প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাককেনজি বলেন, "বিমানবন্দরে উদ্ধারকার্য ও আমাদের সেনার উপরে যে হামলা চলছিল, তা থেকে সুরক্ষা দিতেই ওই এয়ারস্ট্রাইক চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেটি ভুল ছিল এবং এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।"

Drone Attack: ISIS-K জঙ্গি নয়, ভুল তথ্যেই ড্রোন হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ৭ শিশু সহ ১০ জনের, স্বীকার মার্কিন বাহিনীর
ভুল স্বীকার করল মার্কিন বাহিনী। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2021 | 10:50 AM

ওয়াশিংটন: বদলা নিতে জানে মার্কিন সেনা(US Army), আইসিস-কে(ISIS-K)র  উপর ড্রোন হামলা চালানোর পর এমনটাই জানানো হয়েছিল আমেরিকার তরফে। মাস ঘুরতেই ভুল স্বীকার করে নিল তারাই। জানানো হল, গত ২৯ অগস্ট কাবুলে যে এয়ারস্ট্রাইক (Air Strike) চালিয়েছিল মার্কিন সেনা, সেখানে আসলে আইসিস-কে জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যরা নয়, বরং সাধারণ মানুষই মারা পড়েছিলেন। মৃত ১০ জনের মধ্যে ৭জনই আবার শিশু ছিল।

গত মাসে তালিবান(Taliban)-র হাতে আফগানিস্তান (Afghanistan) চলে যাওয়ার পরই উদ্ধারকার্য শুরু করেছিল ভারত, আমেরিকা সহ সমস্ত দেশ। সেই উদ্ধারকার্য চলাকালীনই কাবুলের হামিদ কারজ়াই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অ্যাবেই গেটের কাছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয় বিমানবন্দরের উল্টোদিকেই অবস্থিত ব্যারন হোটেলের সামনে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাবুলের বিভিন্ন জায়গায় আরও দুটি থেকে তিনটি বিস্ফোরণ হওয়ার খবর মেলে। সব মিলিয়ে মোট ১০৩ জনের মৃত্য়ুর খবর মেলে। এদের মধ্যে ৯০ জন আফগান নাগরিক, ১৩ জন মার্কিন সেনা।

সেই হামলার দায়স্বীকার করে নিয়েছিল আইসিসের শাখা সংগঠন আইসিস-খোরাসান বা আইসিস-কে। হামলার পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, “হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না মার্কিন সেনাও”। পাল্টা জবাব দিতেই ২৯ অগস্ট ড্রোন হামলা চালায় মার্কিন সেনা। সেই সময় মার্কিন বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছিল, এয়ারস্ট্রাইকে আইসিস-কের শীর্ষনেতাদের খতম করা হয়েছে।

সম্প্রতিই একাধিক মার্কিন সংবাদপত্রে দাবি করা হয়, সেদিনের এয়ারস্ট্রাইকে আইসিস-কের নেতা নয়, মারা পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। চাপে পড়ে তদন্ত শুরু করতেই মার্কিন সেনাও এ বার মেনে নিল যে গতমাসের ওই হামলায় ১০ জন স্থানীয় বাসিন্দা মারা গিয়েছিলেন।

পেন্টাগনের তরফে মার্কিন সেন্ট্রাল কম্যান্ডের প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাককেনজি বলেন, “বিমানবন্দরে উদ্ধারকার্য ও আমাদের সেনার উপরে যে হামলা চলছিল, তা থেকে সুরক্ষা দিতেই ওই এয়ারস্ট্রাইক চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেটি ভুল ছিল এবং এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। প্রথমে আমরা সঠিক তথ্য না জানলেও বর্তমানে তদন্তে জানা গিয়েছে ৭ শিশু সহ মোট ১০ জন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছিল ওই হামলায়।”

ম্যাককেনজি জানান, কাবুল বিমানবন্দরে প্রাণঘাতী ওই হামলার পরই সাধারণ মানুষ ও মার্কিন সেনার উপরে যে বিপদের সৃষ্টি হয়েছিল, তা দূর করতেই ওই হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু গোয়েন্দা রিপোর্ট ভুল থাকায় এত বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

গত সপ্তাহেই নিউইয়র্ক টাইমসের তরফে তদন্তমূলক সাংবাদিকতায় দাবি করা হয়, মার্কিন সেনাবাহিনী ওই হামলায় সাফল্য পেয়েছে বলে দাবি করলেও আসলে এক ত্রাণকর্মীর মৃত্যু হয়েছে, যে সাহায্য পৌঁছে দিতে কাবুলের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল গাড়ি নিয়ে। মার্কিন বাহিনী বিস্ফোরক বোঝাই গাডি ধ্বংস করেছিল বলে দাবি করলেও নিউইয়র্ক টাইমসের প্রকাশিত ভিডিয়োয় দেখা যায়, জ়েমারি আহমাদি নামক ওই ত্রাণকর্মী তাঁর গাড়িতে জলের ড্রাম ভরছিলেন।

জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জেনারেলের চেয়ারম্যান মার্ক মিলি আগে এই ড্রোন হামলাকে সঠিক বলে মান্যতা দিলেও, মার্কিন বাহিনী ভুল স্বীকারের পরই তিনিও জানান, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা এটি।

আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: মেয়েদের পায়ে বেড়ি দিতেই কি ‘শরিয়ত’! কেন এত ভরসা তালিবানের?