ফোনে আড়ি পেতেছে বাংলাদেশ! কী বলছেন মন্ত্রী?

শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের একাধিক দেশ ইজরায়েলের তৈরি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে বলে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা

ফোনে আড়ি পেতেছে বাংলাদেশ! কী বলছেন মন্ত্রী?
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 20, 2021 | 10:44 AM

ঢাকা: দেশ জুড়ে পেগাসাস ইস্যুতে উত্তাল বিরোধীরা। তবে ইজরায়েলি সাইবার অস্ত্রের সাহায্য নিয়ে ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশেও। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে যে সব দেশে ফোন থেকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেই তালিকায় বাংলাদেশেরও নাম রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্টসহ ১৭টি সংবাদমাধ্যম একযোগে প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, মূলত স্মার্টফোনে আড়ি পাতার কাজে এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে কয়েকটি দেশ।

বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এই বিষয়ে বলেন, ‘যারা এ তালিকা প্রকাশ করেছে, তারা কি যাচাই করেছে? তারা কি বলতে পারবে, বাংলাদেশের কোন প্রতিষ্ঠান পেগাসাস কিনেছে?’ তাঁর দাবি, সরকারি কোনও প্রতিষ্ঠান এমন কিছু কেনেনি। তবে বেসরকারি সংস্থার বিষয়ে তাঁর জানা নেই।

যে সব দেশে ফোনে আড়ি পাতার কাজে পেগাসাস ব্যবহার করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে আলজেরিয়া, বাহরাইন, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, কানাডা, মিসর, ফ্রান্স, গ্রিস, ভারত, ইরাক, ইজরায়েল, আইভরিকোস্ট, জর্ডান, কাজাখস্তান, কেনিয়া, কুয়েত, কিরগিজস্তান, লাটভিয়া, লেবানন, লিবিয়া, মেক্সিকো, মরক্কো, নেদারল্যান্ডস, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, পোল্যান্ড, কাতার, রুয়ান্ডা, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইজারল্যান্ড, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, টোগো, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উগান্ডা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, উজবেকিস্তান, ইয়েমেন ও জাম্বিয়া।

পেগাসাস স্পাইওয়্যার-এর মাধ্যমে আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সব চ্যাট, ছবি, ই-মেইল, কল রেকর্ড হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব। এই ম্যালওয়্যার ব্যবহারকারীর অগোচরেই স্মার্টফোনের মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা চালু হয়ে যেতে পারে। পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বা চেষ্টা করা হয়েছে এমন ৫০ হাজারের বেশি ফোন নম্বর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর হাতে এসেছে। আরও পড়ুন: ভারতকে ৭৫ লক্ষ মডার্না ভ্যাকসিন দেওয়া হতে পারে: WHO