Bangladesh: জন্মদিন বদলে গেল মৃত্যুদিনে! ‘কেন কেক কিনে আনতে গেলাম’, আফশোস কুপিয়ে খুন হওয়া কিশোরের বাবার
Bangladesh News: পুলিশ জানিয়েছে, সনির বাবা রফিকুল ইসলাম রাজশাহী পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি। ছোট ছেলের নির্মম হত্যার পর আটজনের নামে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রফিকুল।
রাজশাহী: প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে প্রত্যেক বছর জন্মদিন আসে। আবির্ভাব দিবসের দিনটা অনেকে বিশেষভাবে পালন করতে পছন্দ করেন। এই দিনে পরিবার, ঘনিষ্ট বন্ধু-বান্ধব, প্রিয় মানুষের সঙ্গে কাটাতেই অভ্যস্ত অনেকে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজশাহীর ১৭ বছর বয়সী কিশোর মহম্মদ সনি আন্দাজ করতে পারেনি, ১৭ তম জন্মদিন শেষে মৃত্যুদিনে বদলে যাবে। বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজশাহীর হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সনি নামের ওই কিশোরকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত কিশোর সবজি পাড়া এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, ওই কিশোর এসএসসি পরীক্ষার্থী।
পুলিশ জানিয়েছে, সনির বাবা রফিকুল ইসলাম রাজশাহী পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি। ছোট ছেলের নির্মম হত্যার পর আটজনের নামে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রফিকুল। তবে পুলিশ অভিযুক্ত আটজনের নাম এখনো প্রকাশ করেনি। মৃত কিশোর এর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সনির ১৭ তম জন্মদিন ছিল। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি থাকা এক বন্ধুকে সে দেখতে গিয়েছিল। এই সময় সেখান থেকে কয়েকজন তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করে রাস্তার ধারে ড্রেনের ওপর ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয় লোকজনের চেষ্টায় তাঁকে হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা সনিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত কিশোরের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর বাবা ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে একটি কেক কিনে এনেছিলেন। বন্ধুদের নিয়ে কেক কাটার পর, সে হাসপাতালে ভর্তি থাকা বন্ধুকে দেখতে গিয়েছিল। শোকার্ত বাবা আফশোস করে জানিয়েছেন, ছেলের জন্য কেক না কিনে আনলে হয়ত সে বাড়িতেই থাকত বোয়ালিয়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের কে জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে অতীতের কোন শত্রুতার জন্যই সনিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মৃত কিশোরের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। জড়িত সকলকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’ জন্মদিনের দিন কিশোরের এমন মর্মান্তিক পরিণতি দেখে শোকস্তব্ধ পরিবার থেকে প্রতিবেশীরা।