Bangladesh President: মেয়াদ শেষ বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতির, অবসর জীবনেও পাবেন তাক লাগানো সুযোগ-সুবিধা

ঢাকা: রবিবার ২৩ এপ্রিল কাজের মেয়াদ শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি (Bangladesh President) মোহম্মদ আব্দুল হামিদের। আগামীকাল সোমবার দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিচ্ছেন মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। নতুন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যসহ বিশিষ্টজনদের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামের সন্তান মহম্মদ আব্দুল হামিদ প্রথম দফায় ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এরপর ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত মহম্মদ জিল্লুর রহমান বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকার সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর বেশ কিছুদিন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবেও দায়িত্বে সামলেছেন।

১৯৭০ সালে ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন আব্দুল হামিদ। এরপর কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকা থেকে সাতবার আওয়ামী লীগের হয়ে সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হন। দীর্ঘদিন জাতীয় সংসদের স্পিকারও ছিলেন। এক কথায় দেশের সফল রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রের এক নম্বর হয়ে বঙ্গভবন ছাড়ছেন তিনি। তবে অবসরে গেলেও আইন অনুযায়ী অবসর ভাতা, চিকিৎসাভাতা সহ আইন অনুযায়ী যাবতীয় সরকারি সুযোগ-সুবিধা তিনি পেতে থাকবেন।

বিদায়ী রাষ্ট্রপতি অবসরে কোথায় থাকবেন?

আগামী ২৪ এপ্রিল নতুন রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার নেবেন মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গভবন ছাড়বেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তিনি একসময় লালমাটিয়ার বাসায় থাকতেন। সূত্রের খবর, সম্ভবত সেখানেই ফের ফিরে যাবেন তিনি। অন্যদিকে তাঁর প্রেস সেক্রেটারি মহম্মদ জয়নাল আবেদিন জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষে রাজধানী ঢাকার বিমান বন্দর সংলগ্ন নিকুঞ্জের একটি বাড়িতে উঠতে পারেন তিনি। আবার বিদায়ী রাষ্ট্রপতির পারিবারিক সূত্র বলছে, তাঁর জন্য ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অবস্থিত একটি ফ্ল্যাটও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিছুদিন আগে তিনি বলেছিলেন, তাঁর জন্মস্থান ও নিজ নির্বাচনী এলাকা কিশোরগঞ্জের মিঠামইনেও থাকবে পারেন তিনি।

অবসরে কী কী সুবিধা পাবেন?

রাষ্ট্রপতির অবসর ভাতা ও সুবিধার বিষয়ে বাংলাদেশের আইন বলছে, কোনও ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি পদে কমপক্ষে ছয় মাস দায়িত্ব পালন শেষে পদত্যাগ করলে অথবা মেয়াদ শেষ হলে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সর্বশেষ যে মাসিক বেতন পেতেন, তার ৭৫ শতাংশ হারে মাসিক অবসর ভাতা পাবেন। বর্তমানে রাষ্ট্রপতির মাসিক বেতন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এই হিসাবে অবসরের পর আবদুল হামিদ মাসে ৯০ হাজার টাকা অবসর ভাতা পাবেন।

দেশের আইন আরও বলছে, রাষ্ট্রপতি অবসরকালীন জীবনে কোনওভাবে মারা গেলে তাঁর বিধবা স্ত্রী তাঁর স্বামীর প্রাপ্য অবসর ভাতার দুই-তৃতীয়াংশ হারে আমৃত্যু মাসিক ভাতা পাবেন। অবসরে যাওয়ার পর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হিসেবে আইনানুযায়ী আরও কিছু সুবিধাও পাবেন আবদুল হামিদ। তিনি একজন ব্যক্তিগত সহকারী ও একজন অ্যাটেনডেন্টও (সাহায্যকারী) পাবেন। দফতরের ব্যয়ও পাবেন, যার মোট বার্ষিক পরিমাণ সময়ে সময়ে সরকার নির্ধারণ করবে।