Bangladesh Crime: ঘুমে আচ্ছন্ন স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে থানায় হাজির স্ত্রী, তারপর…
Bangladesh Crime: বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী। মাস কয়েক আগে বিয়ে হয়ে বলে জানা গিয়েছে।
ঢাকা : পারিবারিক বিবাদ, আর তার জেরেই স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে ফেললেন স্ত্রী। নিজেই পৌঁছলেন থানায়। বাংলাদেশের গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ঘটনা। সোমবার মধ্যরাতে বাংলাদেশের শ্রীপুর পুরসভার কেওয়া দক্ষিণ খণ্ডের চেয়ারম্যানবাড়ি মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শ্রীপুর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন জানিয়েছেন পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই কাজ করেছেন স্ত্রী। মহম্মদ শরিফ নামে ৩১ বছর বয়সী এক ব্যক্তির যৌনাঙ্গ কেটে নেওয়া হয়েছে। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে তিনি। তাঁকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মহম্মদ শরিফের দ্বিতীয় স্ত্রী সেই হনুফা বেগমও একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি শ্রীপুর উপজেলার গাজিয়ারন গ্রামের বাসিন্দা। মাস কয়েক আগে শরিফের সঙ্গে তাঁর প্রথম স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তারপরই হনুফাকে বিয়ে করেন তিনি। মঙ্গলবার শ্রীপুর থানার এসআই মহম্মদ মিজান সাংবাদিকদের জানান, রাতে তিনি এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। থানা থেকে ডিউটি অফিসার মোবাইলে ঘটনার কথা জানান। তিনি জানতে পারেন স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে এক মহিলা থানায় এসে হাজির হয়েছেন। স্বামীকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে এসেছেন বলে থানায় জানান ওই মহিলা।
পুলিশ গিয়ে ঘরের তালা ভেঙে শরিফকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে গাজীপুরে স্থানান্তরিত করেন। এ সময় হনুফা বুকে ব্যথা অনুভব করছিলেন। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করা হয়। ব্যথা না কমায় তাকেও গাজীপুরে স্থানান্তরিত করা হয়। দুজনেই শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
শরিফের বাবা আলাউদ্দিন জানান, তিন বছর সংসার করার পর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে শরিফের বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে পরিবারের সঙ্গে শরিফের কোনও যোগাযোগ ছিল না। তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হত না। শরিফ যে আরেকটা বিয়ে করেছে সেটাও পরিবারের কেউ জানে না। সকালে খবর শুনে তিনি হাসপাতালে ছুটে যান। বাড়ির মালিক আমান উল্ল্যাহ আমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন জানিয়েছেন, গত ১ মে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি ঘর ভাড়া নেন শরিফ। তাঁদের বলা হয়েছিল, শরিফ জয়দেবপুরে চাকরি করেন আর তার স্ত্রী ঘরে সেলাইয়ের কাজ করেন। সোমবার রাত ৩টে থেকে সাড়ে ৩টের মধ্যে পুলিশ গিয়ে তাঁদের ঘুম থেকে ডেকে আনেন। পরে শরিফের এই ঘটনার কথা জানতে পারেন তাঁরা। পুলিশ শরিফকে হাসপাতালে নিয়ে যান।