China Covid-19 Lockdowns: করোনার খবর করতে গিয়ে চিনে গ্রেফতার সাংবাদিক, অভিযোগ উঠল পুলিশি-নিগ্রহেরও
China Covid-19 Lockdowns: চিনে ফের বেড়েছে কোভিড সংক্রমণ। আর কঠোর কোভিড নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভে সামিল সেখানকার জনগণ।
বেজিং: চিনে (China) ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ (Covid-19 Infection)। সম্প্রতি গত তিন বছরের নিরিখে রেকর্ড ছুঁয়েছে কোভিড সংক্রমণ। আর এই সংক্রমণ দমনে ফের জ়িরো কোভিড নীতি অধিগ্রহণ করেছে জিনপিং প্রশাসন। শহরে শহরে আংশিক বা সম্পূর্ণ লকডাইন বিধি চালু হয়ে গিয়েছে। সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসলেও এই বিধি অনুযায়ী থাকতে হচ্ছিল কোয়ারেন্টাইন। এই কঠোর কোভিড নীতি নিয়ে নাভিঃশ্বাস উঠেছে চিনের জনগণের। আর এখন এই কোভিড লকডাউনের বিরুদ্ধে চিনের বিভন্ন প্রদেশে চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। এই প্রতিবাদের মাঝেই চিনের সাংহাইতে এই প্রতিবাদের খবর করার জন্য ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (BBC)-র এক সাংবাদিককে প্রহার করা এবং গ্রেফতার করার অভিযোগ উঠেছে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি অনুযায়ী, বিবিসি-র চিত্র সাংবাদিক এডওয়ার্ড লরেন্সকে গ্রেফতার করা হয়। বেশ কিছুক্ষণের জন্য তাঁকে আটক করে রাখা হয়। পুলিশি হেফাজতে তাঁকে অত্যাচারও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিবিসির মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ‘সাংহাইতে প্রতিবাদের খবর করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন আমাদের সাংবাদিক এডওয়ার্ড লরেন্স। তাঁর সঙ্গে এরূপ ব্যবহার নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত বিবিসি।’ মুখপাত্রই জানিয়েছেন, ‘তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার আগে বেশ কিছু ঘণ্টা আটক করে রাখা হয়েছিল। পুলিশ তাঁকে মারধর করেছে, লাথি মেরেছে। একজন সাংবাদিক হিসেবে কাজ করার সময় তাঁর সঙ্গে এহেন ঘটনা ঘটেছে।’ এদিকে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি সাংবাদিক হিসেবে নিজের পরিচয় দেননি।
বিদেশমন্ত্রী ঝাও লিজান বলেছেন, ‘আমরা সাংহাই কর্তৃপক্ষের থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি, তিনি সাংবাদিক হিসেবে নিজের পরিচয় দেননি। এবং নিজের থেকে সংবাদ মাধ্যমের কোনও প্রমাণও দেখাননি।’ তিনি তারপর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলির উদ্দেশে বলেছেন, ‘চিনে কাজ করার সময় চিনের নিয়মকানুন মেনে চলুন।’