US-China Clash: তাইওয়ান নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে! চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

Taiwan: অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছে বেজিং। তাদের মতে বাইডেনের মন্তব্য স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে নেওয়া নীতির 'স্পষ্ট লঙ্ঘন'।

US-China Clash: তাইওয়ান নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে! চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2022 | 3:08 PM

ওয়াশিংটন: তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকা-চিন দ্বন্দ্ব ক্রমেই বাড়ছে। একদিকে যখন চিন নিজেদের সামরিক শক্তি প্রদর্শনে ব্যস্ত তখন আরও একবার বেজিংকে সতর্ক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন জানিয়েছেন চিনা ফৌজ যদি তাইওয়ান আক্রমণ করে তবে মার্কিন সেনাবাহিনী ওই দ্বীপরাষ্ট্রের হয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত। সিবিএসের এক ইন্টারভিউতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, স্বশাসিত দ্বীপ রাষ্ট্রে যদি লাল ফৌজ আক্রমণ করে তবে আমেরিকা কি তাদের হয়ে লড়াই করবে? জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হ্যাঁ’। এ বছরের শুরুতে জাপান থেকে চিনকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এদিন আরও একবার একথা তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, চিন কোনওভাবেই তাইওয়ানে আক্রমণ করলে সামরিক হস্তক্ষেপ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

সম্প্রতি হোয়াইট হাউজ জানিয়েছিল, স্বশাসিত দ্বীপের জন্য মার্কিন নীতিতে কোনও বদল হয়নি। কিন্তু বাইডেনের এদিনের মন্তব্য থেকে ‘কৌশলগত অস্পষ্টতা’ প্রকাশিত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। তবে তাইওয়ান মার্কিন রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে। তাইপেই জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাদের ‘ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব’ বজায় থাকবে এবং তাদের তরফে এই সাহায্যের প্রতিশ্রুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছে বেজিং। তাদের মতে বাইডেনের মন্তব্য স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে নেওয়া নীতির ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’। সিবিএসের ইন্টারভিউতে বাইডেন জানিয়েছেন, আমেরিকা ‘এক চিন’ নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ওয়াশিংটন আনুষ্ঠানিকভাবে তাইপেইকে নয়, বেজিংকে স্বীকৃতি দিতে চায়। তিনি বলেন, “আমার কোনওভাবেই এগোচ্ছি না। এমনকী তাদের স্বাধীনতাকেও আমরা উৎসাহিত করছি না। এটা সম্পূর্ণভাবে তাদের সিদ্ধান্ত।”

অগস্টে মার্কিন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে উত্তেজনা বেড়েছিল। ন্যান্সি তাইওয়ানে পৌঁছতেই দ্বীপরাষ্ট্রের সীমানার কাছে সেনা মহড়া শুরু করেছিল বেজিং। অন্যদিকে ন্যান্সি পেলোসির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আমেরিকা থেকে রওনা দিয়েছিল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। কূটনৈতিকস্তরে পেলোসির তাইওয়ান সফরের তীব্র বিরোধিতা করেছিল বেজিং। তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকা-চিন সংঘাত আগামী দিনে আরও বাড়ে কি না, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।