Boris Johnson-Rishi Sunak: বিরোধ ভুলে ঋষি সুনকের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়ালেন বরিস, তবে শর্ত একটাই…

UK PM Election: মাত্র ছয় সপ্তাহ আগেই বরিস জনসনকে সরিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছিলেন লিজ ট্রাস। সেই সময় নির্বাচনে তাঁর মুখ্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক।

Boris Johnson-Rishi Sunak: বিরোধ ভুলে ঋষি সুনকের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়ালেন বরিস, তবে শর্ত একটাই...
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2022 | 6:26 AM

লন্ডন: প্রধানমন্ত্রী গদি যখন টালমাটাল, সেই সময়ই ইস্তফা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। পদ খোয়ানোর জন্য কিছুটা দায়ী করেছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে। সেই কারণেই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীই যখন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়েছিলেন, তখন দলের সদস্যদের তাঁকে ভোট না দেওয়ারই পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। কথা হচ্ছে বরিস জনসন ও ঋষি সুনকের সম্পর্কে। বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রীর গদি হারানোর পরই তিক্ততা তৈরি হয়েছিল ঋষি সুনকের সঙ্গে। সেই কারণেই ঋষি সুনকের বদলে মনে-প্রাণে সমর্থন জানিয়েছিলেন লিজ ট্রাসকে। সমর্থন পেয়ে প্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন লিজ, কিন্তু তার পদের স্থায়িত্ব হল মাত্র ৪৫ দিন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে লিজ ট্রাস ইস্তফা দিতেই নতুন করে শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর লড়াই। এই লড়াইয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনকের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনই। নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হতেই, ঋষি সুনককে প্রধানমন্ত্রীর গদির দৌড় থেকে সরে দাঁড়াতে বললেন বরিস জনসন। ফের যেন তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী হতে দেওয়া হয়, এমনটাই আর্জি জানিয়েছেন বরিস। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।

মাত্র ছয় সপ্তাহ আগেই বরিস জনসনকে সরিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছিলেন লিজ ট্রাস। সেই সময় নির্বাচনে তাঁর মুখ্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর প্রথম মিনি বাজেট পেশ করতেই দলের রোষানলের মুখে পড়েন লিজ। কনজারভেটিভ পার্টির একাংশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ‘ভুল’ হয়ে গিয়েছে, এই বলে লিজ ট্রাসকে গদি থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে পদচ্যুত করার আগে বৃহস্পতিবার নিজে থেকেই ইস্তফা দিয়ে দেন লিজ ট্রাস। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কনজারভেটিভ পার্টির অন্যতম পছন্দ হল গত নির্বাচনের শেষ দফায় হেরে যাওয়া ঋষি সুনকই।

তবে একা ঋষি নন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এবার রয়েছেন বরিস জনসনও। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদদের একটা বড় অংশই জানিয়েছে, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে হওয়ার কথা, সেই নির্বাচনে হারের হাত থেকে একমাত্র রক্ষা করতে পারেন বরিস জনসনই।

দ্য টেলিগ্রাফের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে নাম উঠে আসতেই ঋষি সুনককে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন বরিস জনসন। সম্প্রতিই দুইজনের মধ্যে বিরোধের যে চিত্র জনসমক্ষে উঠে এসেছিল, তা মিটমাট করে নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন, এমনটাও দাবি করেছেন বরিস।

আগামী সপ্তাহেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হবে। আগামী শুক্রবারের মধ্যেই জানা যাবে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন।