Pakistan: ৪ বছর পর এফএটিএফ-র ধূসর তালিকায় নেই পাকিস্তান, বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ করতে বলল ভারত

Pakistan exits FATF Grey List: চার বছর পর, ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে নাম মুছল পাকিস্তানের। বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নিতে বলল ভারত।

Pakistan: ৪ বছর পর এফএটিএফ-র ধূসর তালিকায় নেই পাকিস্তান, বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ করতে বলল ভারত
চার বছর পর, ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে নাম মুছল পাকিস্তানের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2022 | 11:00 PM

ইসলামাবাদ ও নয়া দিল্লি: অবশেষে চার বছর পর, ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে নাম মুছল পাকিস্তানের। এফএটিএফ বলেছে, পাকিস্তান তহবিল তছরুপ বিরোধী ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটিগুলি সমাধান করে সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগানের মোকাবিলার লক্ষে তাদের সুপারিশ মেনে কাজ করেছে। প্রসঙ্গত বিশ্বব্যাপী তহবিল তছরুপ ও সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানের বিষয়ে নজরদারি করে এফএটিএফ। ১৮ অক্টোবর থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত প্যারিসে আয়োজিত এফএটিএফ-এর বৈঠকেই পাকিস্তানকে ধূসর তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকায় থাকার কারণে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক বা এডিবি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পাচ্ছিল না। একই সময়ে মুদ্রাস্ফীতি এবং পরিকাঠামোগত সমস্যা পাকিস্তানের মাথা ব্যথা বাড়িয়েছিল। এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে বেরিয়ে আসায়, এই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির ইসলামাবাদকে আর্থিক সহায়তা দিতে আর বাধা রইল না।

স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। টুইট করে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা মুক্ত হওয়া আমাদের কয়েক বছরের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং স্থিতিশীল প্রচেষ্টারই প্রমাণ। আমি আমাদের অসামরিক এবং সামরিক নেতৃত্বের পাশাপাশি সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে অভিনন্দন জানাতে চাই। তাদের কঠোর পরিশ্রম আজকের সাফল্য এনে দিয়েছে। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।”

এফএটিএফের অন্যতম সদস্য দেশ ভারত অবশ্য আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। এফএটিএফ-এর বৈঠকে ভারত সাফ জানিয়েছে, ধূসর তালিকাভুক্ত হওয়ার পরও সন্ত্রাসবাদীদের পছন্দের আশ্রয়স্থল হিসেবে থেকে গিয়েছে পাকিস্তান। শুধু নিরাপদ আশ্রয়দানই নয়, ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে তহবিলের জোগানও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ভারত। এমনকি, বিষয়টি রাষ্ট্রসংঘের মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে ওঠার পরও নির্বিকার থেকে গিয়েছে পাকিস্তান। কুখ্য়াত গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিম, জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদের মতো রাষ্ট্রসঙ্ঘের চিহ্নিত সন্ত্রাসবাদীরা এখনও নিরাপদে পাকিস্তানেই রয়েছে। দিন কয়েক আগে নয়াদিল্লিতে আয়োজিত ইন্টারপোলের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সভাতেও দাউদ ও হাফিজ সইদক ভারতে হস্তান্তরের বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন পাক প্রতিনিধি।

এদিন এফএটিএফ-এর সিদ্ধান্ত জানার পর, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, “এফএটিএফ-এর চাপের ফলে পাকিস্তান, ২৬/১১মুম্বই হামলায় জড়িতদের-সহ সুপরিচিত সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। পাকিস্তানকে অবশ্যই তার নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগানের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য, যাচাইযোগ্য, অপরিবর্তনীয় এবং টেকসই পদক্ষেপ নিতে হবে। আশা করি বৈশ্বিক স্বার্থেই গোটা বিশ্ব এই স্পষ্ট অবস্থানে থাকবে।”

শুধু পাকিস্তান নয়, সাম্প্রতিক পর্যালোচনার পর লাটিন আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়াকেও ধূসর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে সামরিক শাসনের আওতায় থাকা মায়ানমারকে ধূসর তালিকা থেকে আরও গুরুতর, কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের কারণে রাশিয়াকে ‘সাইডলাইন’ করা হয়েছে।