Imran Khan: সরকারি পদে থাকার ‘অযোগ্য’ ইমরান খান, ঘোষণার পরই চলল গুলি

Imran Khan banned from holding public office: শুক্রবার (২১ অক্টোবর), পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ দলের প্রধানকে ৫ বছরের জন্য সরকারী পদে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করল পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন।

Imran Khan: সরকারি পদে থাকার 'অযোগ্য' ইমরান খান, ঘোষণার পরই চলল গুলি
ইমরান খান (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2022 | 4:34 PM

ইসলামাবাদ: সামনের ৫ বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়া তো অনেক দূর, সাংসদও হতে পারবেন না প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুক্রবার (২১ অক্টোবর), পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ দলের প্রধানকে ৫ বছরের জন্য সরকারী পদে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করল পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। আর তারপরই ইসলামাবাদে পাকিস্তানি নির্বাচন কমিশনের বাইরে গুলি চলল। ইমরানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান এবং অন্যান্য বিশিষ্ট বিদেশী ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রাওয়া রাষ্ট্রীয় উপহার বেআইনিভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে এমন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল। পাক সংবাদপত্র ‘ডন’এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের সম্পত্তি সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য জমা দিয়েছিলেন ইমরান। পাক ফেডেরাল আইনের ৬৩ (ক) ধারা অনুযায়ী তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার, পাক নির্বাচনী সংস্থা জানিয়েছে, ইমরান খান “দুর্নীতির আশ্রয়” নিয়েছেন। পাকিস্তানে সফররত বিশিষ্ট বিদেশী ব্যক্তিরা তাঁকে যে সমস্ত উপহার দিয়েছেন তা তিনি বিক্রি করেছেন। পাকিস্তানে মন্ত্রী-সাংসদদের এই ধরনের উপহার বিক্রি করার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু ওই উপহার বিক্রি করে তিনি যে অর্থ উপার্জন করেছেন, ইমরান তা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকাশ করেননি। এই লেনদেন গোপন করাটা অবৈধ। পাক আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচন কমিশনের এই রায়ে ইমরান খান পাক জাতীয় পরিষদে তার আসন হারাবেন। পাক শীর্ষ আদালত এই রায়কে অনুমোদন দিলে, ইমরানের রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাবে।

পাকিস্তানের বর্তমানে ক্ষমতাসীন জোট সরকার গত অগস্ট মাসে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধানের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন, ইমরান খান উপহার বিক্রি করে করা আয় প্রকাশ করেননি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে সরকারি পদে বসার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছিলেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। এদিন, পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকন্দর সুলতান রাজার নেতৃত্বে ইসিপির চার সদস্যের বেঞ্চ, সর্বসম্মতিক্রমে এই রায় দিল।

এই পদক্ষেপে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী এই রায় মানতে চাননি। ইমরান খানের অনুগামীদের এই রায়ের প্রতিবাদে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইমরান খান এর আগেই আগাম নির্বাচনের দাবিতে ইসলামাবাদে একটি পদযাত্রা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন।