Video: বিস্ফোরণের ঠিক আগের সিসিটিভি ভিডিও, ওরা জানেও না কপালে কী লেখা আছে
CCTV footage of moments before deadly Kabul blast: শুক্রবার কাবুলের এক শিক্ষাকেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১৯ জন ছাত্রছাত্রী নিহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের কয়েক মুহূর্ত আগের দৃশ্য বন্দি হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়।
কাবুল: শুক্রবার কাবুলের এক শিক্ষাকেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১৯ জন ছাত্রছাত্রী নিহত হয়েছেন। আরও বহু শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। বেশিরভাগই মহিলা শিক্ষার্থী। তালিবান কর্তারা মৃতের সংখ্যা “কুড়ির নীচে” বলে দাবি করলেও, মনে করা হচ্ছে প্রকৃত পরিসংখ্যান সম্ভবত অনেক বেশি। স্থানীয় এক সাংবাদিক তো দাবি করেছেন অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের কয়েক মুহূর্ত আগের দৃশ্য বন্দি হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। গা ছমছমে সেই ভিডিয়ো থেকেও ইঙ্গিত মিলেছে, মৃতের সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানের অনেক বেশি হতে পারে।
কি দেখা যাচ্ছে সেই সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে? শিক্ষার্থীদের দেখা যাচ্ছে খোশ মেজাজে। সেখানে একটি অনুশীলনমূলক পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তাঁরা। শ্রেণিকক্ষে তালিবানি নিয়ম মেনে ছেলে ও মেয়েরা আলাদা আলাদা জায়গায় বসেছিলেন। তাঁদের মাঝে পর্দাও ছিল। ভিডিয়োতে লেখা শুরু করার আগে সকলকে সমাজ সেবা করার এবং সৎভাবে পরীক্ষা দেওয়ার শপথ নিতে দেখা যাচ্ছে। তাঁরা তখনও জানেন না, কিছু পরেই এই উৎসাহ বদলে যাবে বিষাদে। পরীক্ষা দিতে হবে জীবনের।
A terrorist suicide bomber blew himself up in the middle of this crowded classroom in an educational centre in west Kabul today, filled with eager girls ready to take their practice exams — killing and injuring at least 50 people. What is their crime?
— Shabnam Nasimi (@NasimiShabnam) September 30, 2022
শিক্ষার্থীরা ছদ্ম পরীক্ষার জন্য লিখতে শুরু করার কিছু পরই, এক আত্মঘাতী বোমারু ক্লাসরুমে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটায়। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ‘কাজ’ উচ্চ শিক্ষা কেন্দ্রে। এখানে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হয়। শিক্ষা কেন্দ্রটি পশ্চিম কাবুলের দাশত-ই-বারচি এলাকায় অবস্থিত।
#KABULBLAST #Afghanistan pic.twitter.com/3clDRIvaNO
— Abdulhaq Omeri (@AbdulhaqOmeri) September 30, 2022
এলাকাটি শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত। সংখ্যালঘু হাজারা সম্প্রদায়ও বহু সংখ্যায় বসবাস করে। উচ্চ শিক্ষা কেন্দ্রটির এক সদস্য বলেছেন, “আমরা এখনও পর্যন্ত আমাদের ১০০ জন শিক্ষার্থীর মৃতদেহ গণনা করেছি। ক্লাসরুম পুরো ভর্তি ছিল।” তবে এই বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করা যায়নি। তবে বিস্ফোরণের আগে ও পরের ক্লাসরুমের ছবিই যা বলার তা বলে দিচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও গোষ্ঠী। এই বিস্ফোরণটিকে তালিবান সরকারের সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ খাড়া করল বলে মনে করা হচ্ছে। গত কয়েক মাসে, কাবুল-সহ আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটেছে। অধিকাংশ হামলার লক্ষ্য ছিল ধর্মস্থল। এবার শিক্ষাকেন্দ্রকেও নিশানা করা হল। আইএসকেপি জঙ্গি গোষ্ঠীর পাশাপাশি, আফগানিস্তানের তালিবান বিরোধী শক্তিগুলিও এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।