বহির্বিশ্বের প্রত্যেকের মুখে ২০ জোড়া করে মাস্ক পরাতে পারত চিন
করোনা আবহে মার্চ থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রায় ২২ হাজার ৪০০ কোটি মাস্ক রফতানি করেছে চিন।
বেজিং: করোনা মহামারীর ফলে এখন মাস্ক বাধ্যতামূলক। পিছু ছাড়েনি স্যানিটাইজারও। আর এই মাস্ক রফতানির জোরেই করোনাকালেও বেশ কিছুটা এগিয়ে গিয়েছে চিনের (China) অর্থনীতি। করোনা আবহকে কাজে লাগিয়েই হু হু করে বেড়েছে চিনের উৎপাদন। চিকিৎসা সামগ্রী ও মাস্ক রফতানিতে রেকর্ড গড়েছে ড্রাগনের দেশ। করোনা আবহে মার্চ থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রায় ২২ হাজার ৪০০ কোটি মাস্ক রফতানি করেছে চিন। এই সংখ্যাটা এতটাই বিপুল যে হিসাব বলছে, এর ফলে চিনকে বাদ দিয়ে পৃথিবীর সব কটি দেশের প্রত্যেক নাগরিকের মুখে জুটতে পারে ৪০টি করে মাস্ক।
করোনার প্রথম ধাক্বা লেগেছিল চিনে। কড়া লকডাউন, সঠিক ভাবে করোনা ট্রেসিং ও কোয়ারেন্টিনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে করোনা ধাক্বা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। অন্যান্য দেশ যখন করোনায় কুপোকাত, তখন নিজেদের সারিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে তারা। বিশ্বের সব প্রান্ত কড়া লকডাউনের মাধ্যমে করোনা রোখার চেষ্টা চালাচ্ছে, তখনই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছিল বেজিং।
সাম্প্রতিক করোনার নতুন হানা বাদ দিলে, চিনের করোনা পরিস্থিতি আমেরিকা, ভারত বা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শোচনীয় জায়গায় পৌঁছয়নি। সে দেশে এখন মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৮৮ হাজারের একটু বেশি। কিন্তু ভারত বা আমেরিকাতে এক সময় দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যাই ছিল এই সামগ্রিক সংখ্যার অনেক উপরে। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে করোনা বিধ্বস্ত দেশগুলির অর্থনীতির উপর।
আরও পড়ুন: করোনা জয় করে অর্থনীতিতে জোয়ার চিনে, ভারত সেই তলানিতেই
রেকর্ড ধস নেমেছে আমেরিকা, ভারত-সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিতে। কিন্তু চিনের অর্থনীতি ক্রমশই উর্ধ্বমুখী। চতূর্থ ত্রৈমাসিকে চিনের অর্থনীতি প্রসারিত হয়েছে ৬.৫ শতাংশ। যার ফলে সমগ্র অর্থবর্ষের অর্থনীতির সম্প্রসারণ হয়েছে ২.৩ শতাংশ। এই উর্ধ্বগামী অর্থনীতির নিরিখে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ২০২৮ সালের আগেই আমেরিকার অর্থনীতিকেও ছাপিয়ে যেতে পারে চিনের অর্থনীতি। প্রসঙ্গত, এই অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতি ৭.৫ শতাংশ পর্যন্ত সংকুচিত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আরবিআই।