তাইওয়ানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ভয়ঙ্কর অস্ত্র নিয়ে আসছে চিন, বদলে যেতে পারে যুদ্ধের ধারণা
তাইওয়ানের সঙ্গে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ছে চিনের। সূত্রের খবর, এরই মধ্যে লড়াইয়ের ময়দানে, 'এআর-৫০০সি' নামে এক ভয়ঙ্কর হেলিকপ্টার আনতে চলেছে বেজিং।
বেজিং: তাইওয়ানের সঙ্গে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ছে চিনের। মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভস-এর স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সাম্প্রতিক সফরে সেই উত্তেজনা আরও বেড়েছে। সূত্রের খবর, এরই মধ্যে লড়াইয়ের ময়দানে, ‘এআর-৫০০সি’ নামে এক ভয়ঙ্কর হেলিকপ্টার আনতে চলেছে বেজিং। হেলিকপ্টারটির বৈশিষ্ট হল, এটি সম্পূর্ণরূপে মানববিহীন, অর্থাৎ, চালাতে কোনও পাইলট লাগবে না। ড্রোনের মতো দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। দ্বিতীয়ত, এই কপ্টার অনেক উচ্চতা দিয়ে উড়তে পারে।
বেজিং-এর হুমকিকে তোয়াক্কা না করেই মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে স্বাগত জানিয়েছিল তাইপেই। আর সেই কারণেই এখন চলছে চিনের শাস্তি দানের পালা। কী শাস্তি? সামরিক অনুশীলনের নামে তাইওয়ানের চারপাশে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করছে চিন সেনা। যাকে বেজিং বলেছে “নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা”। এতেও শাস্তিটা যথেষ্ট কড়া হচ্ছে না বলে মনে করছে তারা। এবার ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ছোড়ার পাশাপাশি, তাদের বহুল আলোচিত যুগান্তকারী মানববিহীন হেলিকপ্টারটিকেও কাজে লাগাতে তৈরি হচ্ছে বেজিং, এমনটাই শোনা যাচ্ছে।
সম্প্রতি টুইটারে এক চিনা সামরিক বিমান গবেষক এই কপ্টারটির ব্যবহার করা হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন। চিনের কমিউনিস্ট সরকারের ভয়ে তিনি নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি। তবে, তিনি দাবি করেছেন, এই ভয়ঙ্কর নতুন প্রযুক্তিটির পরীক্ষা সফল হয়েছে। বিভিন্ন চিনা সংবাদমাধ্যেমেও সেই খবর ফলাও করে প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই বেনামি চিনা সামরিক বিমান গবেষক বলেছেন, “নৌযান থেকে কাজ করার জন্যই এই কপ্টারটি বিশেষভাবে নকশা করা হয়েছে।”
এভিআইসি নামে এক চিনা সংস্থা হেলিকপ্টারটি তৈরি করেছে। চিনের জিয়াংজি প্রদেশের পোয়াং-এ তাদের একটি পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে কপ্টারটি উল্লম্ব ভাবে টেকঅফ এবং ল্যান্ডিং করার কাজে সফল হয়েছে। কপ্টারটি পুরোপুরি কার্যকর হলে, যুদ্ধক্ষেত্রে নয়া প্রযুক্তিটি ভয়ঙ্কর কিছু ক্ষমতা নিয়ে আবির্ভূত হবে। এর মধ্যে অন্যতম হল অতি উচ্চতায় ওড়ার ক্ষমতা। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫,০০০ মিটার উচ্চতাতেও টেক অফ করতে কোনও অসুবিধা হয় না এআর-৫০০সি হেলিকপ্টারের। সর্বোচ্চ ৬,৭০০ মিটার উচ্চতায় উড়তে পারে কপ্টারটি। সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ১৭০ কিলোমিটার। একবার জ্বালানি ভরলে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ভ্রমণ করতে পারে।
আপাতত এটিকে শত্রুপক্ষের শত্রুপক্ষের উপর নজরদারির জন্যই ব্যবহার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে চাইলেই প্রচলিত যুদ্ধ আক্রমণ এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধের জন্যও সজ্জিত করা যেতে পারে। এটি বোমা এবং লেজার-গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত বহন করতে সক্ষম।