Tanzania Plane Crash: হু হু করে ঢুকছিল জল, গলা অবধি জলে দাঁড়িয়েই আর্তচিৎকার, তানজানিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ১৯

Tanzania: সরকারি বিবৃতির সঙ্গে মিলছে না উড়ানসংস্থার পরিসংখ্য়ান। দুই তরফেই জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার সময় বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন। একদিকে সরকারের তরফে যেখানে বলা হয়েছে, ওই হ্রদ থেকে ২৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানেই প্রেসিশন এয়ারের তরফে প্রকাশিক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ২৪ জন যাত্রী।

Tanzania Plane Crash: হু হু করে ঢুকছিল জল, গলা অবধি জলে দাঁড়িয়েই আর্তচিৎকার, তানজানিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ১৯
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2022 | 2:18 PM

দার এস সালাম: অবতরণের কথা ছিল বুকোবাতে, কিন্তু তার আগেই লেক ভিক্টোরিয়ার উপরে ভেঙে পড়ে বিমান। তানজানিয়ার যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনায় এখনও অবধি ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে কমপক্ষে ২৬ জনকে। এখনও জারি রয়েছে উদ্ধারকাজ। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই শোক প্রকাশ করেছেন তানজানিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাশিম মাজালিওয়া।

জানা গিয়েছে, পিডব্লু ৪৯৪ প্রেসিশন এয়ার নামক বিমানটি রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ তানজানিয়ার দার এস সালাম থেকে কাগেরা অঞ্চলের বুকোবা শহরে যাচ্ছিল। কিন্তু বুকোবার ঠিক আগেই আচমকা লেক ভিক্টোরিয়ার উপরে ভেঙে পড়ে বিমানটি। সেই সময় বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে ২৬ জনকে উদ্ধার করা গেলেও, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

দুর্ঘটনার খবর পেয়েই শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী কাশিম মাজালিওয়া। বুকোবা বিমানবন্দরে যান তিনি। সেখানে তিনি বলেন, “বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯-এ দাঁড়িয়েছে। সমস্ত তানজানিয়ার বাসিন্দারা ওই ১৯ জনের মৃত্যুতে শোকাহত।”

এদিকে, সরকারি বিবৃতির সঙ্গে মিলছে না উড়ানসংস্থার পরিসংখ্য়ান। দুই তরফেই জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার সময় বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন। একদিকে সরকারের তরফে যেখানে বলা হয়েছে, ওই হ্রদ থেকে ২৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানেই প্রেসিশন এয়ারের তরফে প্রকাশিক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ২৪ জন যাত্রী। বাকি সকল যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে। সরকারের নথিতে অতিরিক্ত যে দুইজন আহতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হলেও, তারা ওই বিমানের যাত্রী নন, এমনটাই জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংস্থার এক কর্মী।

উড়ান সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিমানটি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া মাত্রই তারা উদ্ধারকারী দল পাঠায় ঘটনাস্থলে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিমানটি টলৌসির ফ্রান্কো-ইটালিয়ান সংস্থা এটিআরের তৈরি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে এক শিশু সহ মোট ৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। এছাড়াও চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে দেখানো ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বিমানটির সামনের অংশটি প্রায় পুরোটাই ডুবে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা, মৎসজীবীরাও উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে জলে নামেন। গলা অবধি জলে দাঁড়িয়েই একে একে আহত যাত্রীদের পাড়ে তুলে আনা হয়। পরে দড়ি ও ক্রেনের সাহায্যে বিমানটিকে জল থেকে তোলা হয়। হ্রদের জলে আর কেউ ডুবে গিয়েছেন কিনা, তার জন্য এদিনও উদ্ধারকাজ জারি রাখা হয়েছে। দেশের প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান বলেন, “ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি আমাদের যেন সাহায্য করেন।”