চিনের ‘প্রাচীর’ ভেদ করে ঢুকে পড়ল ডেল্টা, টিকা নিয়েও আক্রান্ত বহু
করোনা নিয়ন্ত্রণে চিনে বেশ কড়াভাবে মানা হয় করোনা বিধি। তারপরও কোন ফাঁকে ঢুকে পড়েছে ডেল্টা। টিকা প্রাপ্তদের শরীরেও ছড়াচ্ছে সংক্রমণ।
বেজিং: করোনার আতুঁড়ঘর হিসেবে চিনকেই চিহ্নিত করা হয়। ২০১৯-এর শেষের দিকে চিনেই প্রথম ছড়ায় এই মারণ ভাইরাস। পর্যায়ক্রমে নানা সুরক্ষা বিধি মেনে সংক্রমন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে চিন। কিন্তু এ বার ছড়াচ্ছে নতুন আতঙ্ক। গত ৬ মাসে সংক্রমণ অনেকটাই কমে গিয়েছিল চিনে। আচমকা একধাক্কায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চিনের একটি বিমানবন্দর থেকে এই সংক্রমণের সূত্রপাত।
নানজিং এয়ারপোর্টে কর্মরত বেশ কয়েকজন সাফাইকর্মীর মধ্যে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে। ২০ জুলাই ওই এয়ারপোর্টের কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হন। এরপরই চিনের জিয়াংশু প্রদেশে মোট ১৭১ জনকে আক্রন্ত হতে দেখা যায়। সেখান থেকে চিনের অন্তত চারটি প্রদেশে ইতিমধ্যেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ। একদিকে টেস্ট বাড়িয়ে, লকডাউন জারি করে নিশ্ছিদ্র সুরক্ষা বলয় তৈরি করেছে চিন। তারই মধ্যে প্রায় কয়েক মাস বাদে আচমকা এই সংক্রমণ বৃদ্ধি। কয়েক মাস পর প্রথম এত বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে করোনা সংক্রমণ ছড়াল। এয়ারপোর্টের কর্মীরা প্রত্যেকেই ভ্যাকসিন প্রাপ্ত বলে জানা গিয়েছে।
নতুন করে সংক্রমণের জেরে জিয়াংশু প্রদেশে জারি করা হয়েছে লকডাউন। নানজিং শহরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জিম, ক্যাফে, সিনেমা হল, বার কিংবা লাইব্রেরি। করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য চিনে যে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখেন ফেলে দিয়েছে ডেল্টা। বেজিং-এই সম্প্রতি হানা দিয়েছে ডেল্টা। পর্যটনে গিয়েই আক্রান্ত হয়েছেন সেখানকার এক দম্পতি। তাঁদের সংস্পর্শে আসা ৬৫০ জনকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এ বার যাঁরা আক্রান্ত হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছেন। সুতরাং চিনের ভ্যাকসিন নতুন ভ্যারিয়েন্টের জন্য কতটা কার্যকর, তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। আরও পড়ুন: ‘ওঁরাও সাধারণ মানুষ’, তালিবানকে জঙ্গি সংগঠন মানতে নারাজ পাক প্রধানমন্ত্রী