Missiles Fired At Northern Iraq : ইরাকে মার্কিন দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, অভিযোগের তির ইরানের দিকে
Missiles Fired At Norther Iraq : ইরাকের উত্তরের শহর অর্বিল লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হল রবিবার ভোর রাতে। মার্কিন সেনা ছাউনি লক্ষ্য করেই এই হামলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বাগদাদ : ইরাকের উত্তরের শহর অর্বিল লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হল রবিবার ভোর রাতে। মার্কিন সেনা ছাউনি লক্ষ্য করেই এই হামলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্ব-শাসিত কুর্দিস্তানে অঞ্চলের নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, কোনও বড় হতাহতের খবর নেই। তবে সামান্য় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, উত্তরের সীমা থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। ফলে মনে করা হচ্ছে এই হামলার উৎস দেশ হল ইরান। উল্লেখ্য, ইরাকের বাসিন্দাদের উপর ইরানের একটি রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব রয়েছে।
কুর্দিশ নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, ১২ টি মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছিল। ইরাকি কুর্দিস্তানের রাজধানী অর্বিল এবং সেখানে অবস্থিত মার্কিত দূতাবাসে এই হামলা হয়। কুর্দিস্তানের সন্ত্রাস দমন শাখা একটি বিবৃতিতে বলেছে, “ইরাক এবং কুর্দিস্তানের সীমানার বাইরে এই মিসাইল ছোঁড়া হয়েছিল।” কুর্দিস্তান অঞ্চল সহ ইরাকে মার্কিন সেনার সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এই সেনাবাহিনীই ইসলামিক স্টেট জিহাদি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি জোটের নেতৃত্ব দিয়েছে। তবে ওয়াশিংটন ইরাকে তার স্বার্থের বিরুদ্ধে রকেট এবং ড্রোন হামলার জন্য ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছে। এই গোষ্ঠীগুলিই ইরাকে অবশিষ্ট মার্কিন সেনাদের প্রস্থানের দাবি করে।
উল্লেখ্য, এবছর শুরু থেকেই ইরাকে রকেট হামলার সংখ্যা বেড়েছে। ইরানের সামরিক কর্তা জেনারেল কাশেম সোলেমানির দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী যত এগিয়ে এসেছে, ততই হামলার তীব্রতা বেড়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের জেনারেল মারা গিয়েছিলেন। মার্কিন প্রশাসনের চোখে সোলেমানি ছিলেন জঙ্গি। যদিও ইরানের চোখে তিনি একজন সম্মানিত সেনা আধিকারিক ছিলেন। মার্কিন হামলায় সোলেমানির মৃত্যুর পর থেকেই ইরাকে মার্কিন স্থাপনার উপর বিভিন্ন সময় রকেট হামলা চলেছে। প্রতিটি হামলার ক্ষেত্রেই আমেরিকা আঙুল তুলেছে তেহরানের দিকে। এরই মধ্যে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার জটিলতাও কাটছে না। এর আগে ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিল। তবে বাইডেন হোয়াইট হাউজে আসার পর পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি ফের আলোচনার টেবিলে বসেছে ইরান। আলোচনায় সরাসরি অংশ নিয়েছে ব্রিটেন, রাশিয়া, ফ্রান্স, চিন, জার্মানি। পরোক্ষ ভাবে বৈঠকে অংশ নিচ্ছে আমেরিকাও। চুক্তির বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত মিললেও এখনও তা চূড়ান্ত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা বিভিন্ন মহলে। এতে আলোচনায় ছেদ পড়তে পারে বলেও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।