Poison Garden: গাছ নয় সাক্ষাৎ জল্লাদ! এই বাগানে ঢুকলে আজীবনের জন্য হতে পারেন পঙ্গু, বাজতে পারে মৃত্যু ঘণ্টা

Poison Garden: এখানে যে গাছগুলি রয়েছে সেগুলি দূর থেকে দেখে যে কেউই রূপের জাদুতে মূর্ছা যেতে পারেন। কিন্তু, তাঁদের বিষবাষ্পেই মুহূর্তেই ঝরতে পারে প্রাণ।

Poison Garden: গাছ নয় সাক্ষাৎ জল্লাদ! এই বাগানে ঢুকলে আজীবনের জন্য হতে পারেন পঙ্গু, বাজতে পারে মৃত্যু ঘণ্টা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2022 | 5:23 PM

ইংল্যান্ড: মনে পড়ে সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) লেখা ‘সেপ্টোপাসের ক্ষিদে’ গল্পের কথা? রক্তলোলুপ সেই গাছের গল্প আজও গভীর বিস্ময়ের জন্ম দেয় আমাদের মনে। কিন্তু, এই পৃথিবীর বুকেই আছে এমন এক বাগান, যেখানে রয়েছে এমন সব গাছের সারি, যা মুহূর্তেই প্রাণ কেড়ে নিতে পারে যে কোনও মানুষের। শুনতে অবাক লাগলেও, ইংল্যান্ডে (England) বোটানিক্যাল গার্ডেনের মধ্যে অন্যতম আলনউইক ক্যাসেল। যেখানে ১২ একর বাগানের একটি অংশ জুড়ে রয়েছে বিষাক্ত গাছের সারি। এই বাগান চলতি কথায় ‘পয়জন গার্ডেন’ (Poison Garden) নামেই পরিচিত। এমনকী এই বাগানে ঢোকার মুখে বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে সতর্কবাণী। 

এই বাগান নিয়েও মানুষের বিস্ময়ের অন্ত নেই। এখানে প্রায় শতাধিক এমন সব প্রজাতির গাছ রয়েছে যা আদপেই প্রাণঘাতী। ১০০ প্রজাতির বিষাক্ত, নেশা ও চেতনানাশক সব গাছের সমারোহ দেখতে পাওয়া যায় এখানে। এমনকী বিশেষ অনুমতি ছাড়া এ বাগানেও ঢোকাও পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এমনকী সাধারণ পর্যটকদের গাছের গন্ধ নেওয়া, স্পর্শ করা ও স্বাদ নেওয়ার ক্ষেত্রেও জারি রয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। শোনা যায়, এই বাগানের বাতাসও মারাত্মকভাবে বিষাক্ত। অনেক সময়েই এ বাগান দিয়ে কোনও বাড়তি সুরক্ষার ব্যবস্থা ছাড়া হাঁটতে গেলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

ইতিহাস বলছে, নর্থ অ্যাম্বারল্যান্ডের প্রথম ডিউক হিউ পার্সি ১৭৫০ সালের দিকে অ্যালউইক ক্যাসলের কাছে এ বাগানটি তৈরি করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে নর্থ অ্যাম্বারল্যান্ডের বর্তমান ডাচেস বাগানের খোলনলচে বেশ খানিকটা বদলে দেন। তবে এখানে যে গাছগুলি রয়েছে সেগুলি দূর থেকে দেখে যে কেউই রূপের জাদুতে মূর্ছা যেতে পারেন। কিন্তু, তাঁদের বিষবাষ্পেই মুহূর্তেই ঝরতে পারে প্রাণ। এই বাগানে ব্রাজিলের ব্রাগমানসিয়া নামের এক প্রজাতির বিষাক্ত গাছ রয়েছে যা যে কোনও মানুষকে মুহূর্তে পঙ্গু করে দিতে পারে। এছাড়াও রয়েছে লওরেলস গাছ, যার ঘ্রাণ মানুষকে অজ্ঞান করে ফেলে। এখানে থাকা ডেভিল ট্রাম্পেট গাছটি মানুষের চিরনিদ্রার কারণ হতে পারে।