S Jaishankar On Buying Russian Oil : ‘প্রত্যেকটি দেশই নিজের নাগরিকদের সুবিধার দিকটি দেখবে’, রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে বললেন জয়শঙ্কর

S Jaishankar On Buying Russian Oil : রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির সপক্ষে যুক্তি দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি আবারও স্পষ্ট করে দিলেন দেশের স্বার্থই আগে।

S Jaishankar On Buying Russian Oil : 'প্রত্যেকটি দেশই নিজের নাগরিকদের সুবিধার দিকটি দেখবে', রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে বললেন জয়শঙ্কর
ছবি সৌজন্যে : PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2022 | 7:51 PM

নয়া দিল্লি : রাশিয়া-ইউক্রেনে যুদ্ধ বেধেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। জ্বালানির দাম বেড়েছে হু হু করে। এরই মধ্যে পশ্চিমি দেশগুলি রাশিয়ার উপর নানা নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমি দেশের হুঁশিয়ারি তোয়াক্কা না করে রাশিয়া থেকে কম দামে অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে ভারত। সরকারে বক্তব্য, দেশের মানুষের স্বার্থ আগে। যেখানে হু হু করে তেলের দাম বাড়ছে সেই পরিস্থিতিতে আগে দেশের বাণিজ্যিক স্বার্থ, সর্বোপরি জনগণের স্বার্থ আগে বিবেচিত হয়। ভারতের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন একাধিক বিশ্ব নেতাও। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতের এই পদক্ষেপ ভাল চোখে নেয়নি পশ্চিমি বিশ্ব। এবার রাশিয়া থেকে তেল কেনার এই সিদ্ধান্তের পিছনে যুক্তি দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন, জ্বালানির উচ্চ দাম কমানোর জন্য় সব দেশই চেষ্টা করবে। ভারতও সেই কাজই করছে বলে জানিয়ে দেন বিদেশমন্ত্রী।

মঙ্গলবার ব্য়াঙ্ককে ভারতীয় কমিউনিটির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন এস জয়শঙ্কর। সেখান থেকেই তিনি রাশিয়া থেকে তেল কেনার পিছনে যুক্তি তুলে ধরেন তাঁর বক্তৃতায়। তিনি বলেন, তেল ও গ্যাসের দাম সর্বোচ্চ হয়েছে। অনেক তেল সরবরাহকারী ইউরোপের দিকে ঝুঁকছে কারণ তারা রাশিয়া থেকে অপেক্ষাকৃত কম তেল আমদানি করছে। একটি প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়েছে, ‘মধ্য প্রাচ্য ও অন্য়ান্য উৎস যারা ভারতে সরবরাহ করত তাদের থেকে বেশি করে কিনছে ইউরোপ।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘বর্তমানে এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকটি দেশই নিজের নাগরিকদের সুবিধার দিকটি দেখবে। তাই জ্বালানির উচ্চ দামের প্রভাব কমানোর চেষ্টা করবে। আমরাও সেটাই করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘একবার যখন আপনি সৎ ভাবে পুরো বিষয়টা তুলে ধরেন তখন মানুষে তা গ্রহণ করে নেয়। তারা সবসময় সেই বিষয়টির প্রশংসা নাও করতে পারেন। তবে যখন আপনি খুব বেশি চালাকি না করেন এবং নিজের স্বার্থের বিষয়টি সরাসরি তুলে ধরেন, তখন আমার মনে হয় গোটা বিশ্ব বিষয়টিকে কোনও না কোনও ভাবে মেনে নেয়।’

তবে তিনি এও স্পষ্ট করেছেন যে রক্ষণাত্মভাবে ভারত এই পদক্ষেপ করেনি। ভারতের জনগণ উচ্চ জ্বালানির দাম সইতে পারবে না। তাই সেই কষ্ট লাঘব করতে রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ভারত প্রথম থেকেই তার এই স্বার্থ সম্পর্কে পরিষ্কার ছিল। তিনি এদিন আরও বলেছেন, ‘এ দেশে মাথা পিছু আয় ২ হাজার ডলার। এখানে অনেক মানুষেরই উচ্চ হারে জ্বালানি কেনার ক্ষমতা নেই। এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা যে আমি তাঁদের জন্য শ্রেষ্ঠ জিনিসটাই করব।’ তিনি বলেছেন, আমেরিকার মতো দেশও ভারতের এই অবস্থান সম্পর্কে অবগত। প্রসঙ্গত, এর আগেও রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনার সিদ্ধান্তের সপক্ষে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কথা বলতে দেখা গিয়েছে জয়শঙ্করকে। তিনি গত এপ্রিল মাসে আমেরিকায় গিয়ে বলেছিলেন, ইউরোপ এক বেলায় যতটা তেল কেনে ভারত একমাসে রাশিয়া থেকে তার অনেক কম তেল আমদানি করে।