India on Russia-Ukraine War: ‘অবিলম্বে বন্ধ হোক যুদ্ধ’, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে জোর সওয়াল বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের
India on Russia-Ukraine War: রাশিয়া ভারতের বন্ধু দেশ হওয়ায় ভারত কখনওই সরাসরি রাশিয়ার নিন্দা করেনি, তবে দুই দেশের সমস্যা মেটাতে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র খোঁজার উপরই জোর দিয়েছে বরাবর। বৃহস্পতিবারও রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে ভারতের তরফে দ্রুত রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ থামানোর দাবি জানানো হয়।
জেনেভা: যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ফের একবার এই বার্তাই দিল ভারত। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি ফের একবার জজটিল হতেই একাধিক দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারত সেই দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। বৃহস্পতিবারও রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের তরফে অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ করার স্বপক্ষেই জোরাল সওয়াল করা হয়। মার্কিন সফরে যাওয়া বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও এই অধিবেশনে যোগ দিয়ে বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ গোটা বিশ্বের কাছেই অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে রুশ সেনা ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর থেকেই রাশিয়ার নিন্দায় সরব হয়েছে একাধিক দেশ। তবে রাশিয়া ভারতের বন্ধু দেশ হওয়ায় ভারত কখনওই সরাসরি রাশিয়ার নিন্দা করেনি, তবে দুই দেশের সমস্যা মেটাতে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র খোঁজার উপরই জোর দিয়েছে বরাবর। বৃহস্পতিবারও রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে ভারতের তরফে দ্রুত রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ থামানোর দাবি জানানো হয়। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি গোটা বিশ্বের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। যুদ্ধের জেরে যেভাবে খাদ্যশস্য, জ্বালানির দাম বাড়ছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ভারত চায়, অবিলম্বে যুদ্ধ থামিয়ে যেন কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র খোঁজা হয়। স্পষ্টতই সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেমন বলেছিলেন যে এটা যুদ্ধের সময় নয়।”
Spoke at the UNSC briefing on Ukraine. pic.twitter.com/LZ7m8ERPmM
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) September 22, 2022
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরে ক্রমাগত যেভাবে খাদ্যশস্যের দাম বাড়ছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমরা সকলেই জানি যুদ্ধের জেরে কীভাবে সমস্ত জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে, বিশেষ করে খাদ্যশস্য, জ্বালানি ও সারের। এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও মানবাধিকার লঙ্ঘন বা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের কোনও যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা হতে পারে না। যেখানেই এই ধরনের ঘটনা ঘটুক, সেখানে স্বাধীনভাবে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।”
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভামঞ্চে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের যুদ্ধের বিরুদ্ধে এই কড়া অবস্থানকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞরা। বুধবার, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দফতরে বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস সেমিহালের দেখা হয়। সেখানেও বিদেশমন্ত্রী কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র খোঁজার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
গতকালের এই সভায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তেনিও গাতেরাস, মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকিন, চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ সহ রাষ্ট্রসঙ্ঘের একাধিক সদস্য-প্রতিনিধি।