ভারতের থেকে সুখী পাকিস্তান, আরও সুখী বাংলাদেশ
প্রথম সারিতে ইউরোপীয় দেশগুলিরই প্রাধান্য রয়েছে। 'ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে' দ্বিতীয় হয়েছে ডেনমার্ক।
ফিনল্যান্ড: ২০১২ সাল থেকে শুরু হয় ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট (World Happiness Report)।’ এই সমীক্ষায় মূলত ১৫৬ টি দেশের মধ্যে ৬ টি বিষয় নিয়ে তুলনা করা হয়। সেগুলি হল জিডিপি, সামাজিক সহযোগিতা, চাহিদা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা, উদারতা, অপরাধ। এ বার ১৪৯টি দেশের মধ্যে নবম বারের জন্য ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’ হয়েছিল। সেখানে হ্যাট্রিক করল ফিনল্যান্ড। প্রমাণিত হল বিশ্বের সবচেয়ে খুশি ফিনল্যান্ডের নাগরিকরা। ১৪৯টি দেশের মধ্যে ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে’ ভারত রয়েছে ১৩৯ নম্বরে।
বিগত বছরে করোনার দাপট ছিল গোটা বিশ্ব জুড়ে। তারপরও নেতিবাচক অনুভূতি বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ দেশে। যেখানে ইতিবাচক অনুভূতি বেড়েছে ২২টি দেশে। ফিনল্যান্ডে মানুষের বাক স্বাধীনতা বেশি, সে দেশে কেউ ঘুষ নেন না। বাড়ি বাড়ি বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা মেলে, তাই ফিনল্যান্ডের মানুষ সবচেয়ে বেশি খুশি। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিও বহু পিছনে এই তালিকায়। পাকিস্তান আগে ছিল ৬৭ নম্বরে। কিন্তু বর্তমান রিপোর্টে তা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১০৫ নম্বরে। তুলনামূলক বেশি খুশি বাংলাদেশ। সে দেশের স্থান ১০১ নম্বরে। খুশির তালিকায় সবচেয়ে নীচে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তান।
প্রথম সারিতে ইউরোপীয় দেশগুলিরই প্রাধান্য রয়েছে। ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে’ দ্বিতীয় হয়েছে ডেনমার্ক। তৃতীয় স্থানে রয়েছে সুইৎজারল্যান্ড, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে আইসল্যান্ড ও নেদারল্য়ান্ড। ইউরোপীয় নয়, কিন্তু প্রথম দশে রয়েছে, এ রকম একটিই দেশ রয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে’। তা হল নেদারল্যান্ড।
আরও পড়ুন: ‘রোমাঞ্চিত’ মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠক নমোর, উঠে এলে চিন প্রসঙ্গ