তাপপ্রবাহের সঙ্গে দোসর ভয়াবহ আগুন, রাতারাতি ঘরছাড়া কানাডার শতাধিক বাসিন্দা

Fire Along Heat Wave in Canada: ভ্যাঙ্কুভার থেকে ২৫০ ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লিটন গ্রাম বুধবার রাতেই সম্পূর্ণ খালি করে দেওয়া হয়। মেয়র জ্যান পোল্ডারম্যান বলেন, "আগুনে বাড়িঘর পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে কোনওভাবেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।"

তাপপ্রবাহের সঙ্গে দোসর ভয়াবহ আগুন, রাতারাতি ঘরছাড়া কানাডার শতাধিক বাসিন্দা
জঙ্গল থেকে অনর্গল বের হচ্ছে ধোঁয়া।
Follow Us:
| Updated on: Jul 02, 2021 | 4:51 PM

ভ্যাঙ্কুভার: একেই তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৫০ ডিগ্রিতে। তার উপর লেগেছে আগুন। দাবানলের শঙ্কায় শতাধিক বাসিন্দাদের সরানো হল পশ্চিম কানাডার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে।

গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই তাপপ্রবাহে মঙ্গলবার অবধিই কমপক্ষে ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জনবহুল শহর  ভ্যাঙ্কুভারের ৬৯ জন  বাসিন্দা। আচমকা তাপমাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ায় দাবানল লেগেছে ব্রিটিশ কলোম্বিয়ার একাধিক জায়গায়। বিনা পূর্বাভাসেই সৃষ্টি হওয়া এই তাপপ্রবাহ কতদিন চলবে, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যাচ্ছে না। সেই কারণেই সতর্কতা বশে স্কুলগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। যেই অংশগুলিতে তাপপ্রবাহ চলছে, সেখানে করোনা টিকাকরণও বন্ধ রাখা হয়েছে।

এ দিকে, জঙ্গলে আগুন লাগায় ভ্যাঙ্কুভার থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লিটন গ্রাম বুধবার রাতেই সম্পূর্ণ খালি করে দেওয়া হয়। মেয়র জ্যান পোল্ডারম্যান একটি বিবৃতি জারি করে বলেন, “আগুনে বাড়িঘর পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে কোনওভাবেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। দমকল কর্মীরা যথা সম্ভব চেষ্টা চালাচ্ছেন।”

কানাডার আবহাওয়া দফতরের তরফেও জানানো হয়, আগামী কয়েকদিন ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপর উচ্চ চাপ বজায় থাকবে, তারফলে তাপপ্রবাহ চলতেই থাকবে। রাতেও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাপপ্রবাহ নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অ্যালবার্টা, ম্যানিটোবা সহ উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল জুড়ে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

কানাডা ছাড়াও আমেরিকার ওয়াশিংটন ও ওয়েগনেও তাপপ্রবাহ চলছে। সেখানেও রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে একাধিক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। ওরেগনের তাপমাত্রা লাস ভেগাসের নাভাডা মরুভূমি (Navada Desert)-র মধ্যস্থলের তুলনাও বেশি ছিল।

আরও পড়ুন: কানাডার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি, মরুভূমির থেকেও উষ্ণ ওরেগন! সপ্তাহজুড়ে মৃত্যুমিছিলের কারণ কী?