Bangladesh War: ‘রাজনৈতিক ব্যর্থতা ছিল, সেনাবাহিনীর নয়’, বিদায়ীবেলায় ৭১-র মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিস্ফোরক জেনারেল বাজওয়া

Bangladesh War: নভেম্বরেই সেনাপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেবেন জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। তিনি তাঁর শেষ জনগণের উদ্দেশে ভাষণে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।

Bangladesh War: 'রাজনৈতিক ব্যর্থতা ছিল, সেনাবাহিনীর নয়', বিদায়ীবেলায় ৭১-র মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিস্ফোরক জেনারেল বাজওয়া
ছবি সৌজন্যে: AP
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 24, 2022 | 4:28 PM

ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের সেনা প্রধান (Chief of Army Staff) পদে মেয়াদ শেষ হচ্ছে কামার জাভেদ বাজওয়ার (Qamar Javed Bajwa)। সেনাপ্রধান হিসেবে জনগণের উদ্দেশে শেষ বক্তব্য রাখলেন কামার জাভেদ। দেশের সেনাবিরোধী চিন্তাভাবনারও সমালোচনা করেন তিনি। আর এই শেষ বক্তৃতায় ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রচলিত কিছু বিষয় ‘শুধরে’ দিলেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয় ছিল রাজনৈতিক ব্যর্থতা। এতে সেনাবাহিনীর কোনও হাত ছিল না বলেই দাবি বিদায়ী সেনাপ্রধানের। তিনি এদিন বলেন, ১৯৭১ সালের গৃহযুদ্ধে পাকিস্তান সেনার ভূমিকা ও কার্যকারিতা নিয়ে খুব বেশি আলোচনা করা হয় না। তাঁর মতে, অনেকেই এই বিষয়টি এড়িয়ে যায়। পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাজওয়া বলেছেন, ‘আমি এই নিয়ে কিছু বিষয় সংশোধন করতে চাই। প্রথমত, অধুনা পূর্ব পাকিস্তান একটি রাজনৈতিক ব্যর্থতা ছিল। সেনার কোনও ব্যর্থতা ছিল না।’ তিনি আরও দাবি করেন, এই যুদ্ধে ৯২ হাজার নয় ৩৪ হাজার সেনা লড়াই করেছিল। তিনি জানান, ভারতের ২ লক্ষ ৫০ হাজার সেনা ও ২ লক্ষ সদস্যের মুক্তিবাহিনীর কাছে এই সেনার সংখ্যা একেবারেই নগণ্য ছিল।

জেনারেল বাজওয়া আরও বলেন, ‘সেনা সংখ্যায় এতটা পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমাদের সেনা বীরের মতো লড়েছিলেন এবং ভারতীয় সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল মানেকশ নিজে স্বীকার করেছিলেন আমাদের সেনারা ত্যাগ স্বীকার করেছে।’ তিনি বলেন, “পাকিস্তান সেই সেনাদের যোগ্য সম্মান দিতে পারেনি এখনও।” তিনি এই বিষয়টিকে ‘বড় অবিচার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। বাজওয়ার কথায়, “আমি এই সুযোগে সেই সব শহিদদের সম্মান জানাই। তাঁরা আমাদের নায়ক এবং দেশের তাঁদের নিয়ে গর্ব করা উচিত।” প্রসঙ্গত, নভেম্বরের শেষেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেবেন জেনারেল বাজওয়া। গত ২০১৬ সালে তিনি ৩ বছরের জন্য এই পদে নিযুক্ত হন। পরে আরও ৩ বছরের জন্য তাঁর এই পদে মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়।