PM Modi at COP26 Glasgow: ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন মুক্ত দেশ হবে ভারত, গ্লাসগোয় দিশা দেখালেন নমো
Net Zero Carbon Emission: ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে ভারতে। ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ভারতীয় রেল।
গ্লাসগো: জলবায়ু পরিবর্তন আজকের দিনে দাঁড়িয়ে একটি জ্বলন্ত সমস্যা। উদ্বিগ্ন প্রতিটি দেশ। জলবায়ু সঙ্কট থেকে নিস্তারের পথ খুঁজতে আজ গ্লাসগোয় আলোচনায় বসেন বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতারা। সম্মেলনে জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় ভারত কী ভাবছে, তার একটি স্পষ্ট দিক নির্দেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গোটা বিশ্ব এই সময় যে সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তা থেকে নিস্তারের জন্য ভারতের পদক্ষেপগুলির কথা তুলে ধরেন নমো। জানান, ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে ভারতে। ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ভারতীয় রেল।
উল্লেখ্য, এই প্রথমবার কার্বন নির্গমন বন্ধ করা নিয়ে কোনও লক্ষ্যমাত্রার কথা জানালেন নরেন্দ্র মোদী। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে তুলনা করলে কার্বন নির্গমন একেবারে বন্ধ করতে চিনের থেকে ১০ বছর বেশি সময়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ভারত। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির তুলনায় সময়টা ২০ বছর বেশি।
প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০ গিগাওয়াট ‘নন ফসিল’ শক্তির আধার হবে ভারত। পাশাপাশি ওই একই সময়ের মধ্যে দেশের মোট প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের ৫০ শতাংশ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি থেকে ব্যবহার করা হবে। এখন থেকে শুরু করে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ কোটি টন কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনবে ভারত। কার্বনের উপর দেশীয় অর্থনীতির নির্ভরশীলতা ৪৫ শতাংশ কমিয়ে আনা হবে ২০৩০ সালের মধ্যে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ ভারতে। কিন্তু কার্বন নির্গমনের দিক থেকে বিশ্বের মোট কার্বন নির্গমনের মাত্র ৫ শতাংশের জন্যই ভারত।’ এই পরিসংখ্যানের জন্য আজ গ্লাসগোয় বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বেশ গর্বও করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এও বলেন, যে বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলির মধ্যে একমাত্র ভারতই প্যারিস চুক্তি মেনে চলেছে। সারা বিশ্ব আজ তা স্বীকার করে।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে প্যারিস শুধু কোনও সম্মেলন নয়, এটি আমার কাছে একটি আবেগ। একটি প্রতিশ্রুতি। আর এই প্রতিশ্রুতি ভারত দিচ্ছিল না। ১২৫ কোটি ভারতীয় নিজেদের মধ্যে এই প্রতিশ্রুতি পালন করছিলেন। আমি গর্বিত যে ভারতের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশ কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্র থেকে টেনে বের করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’
আজ গোটা বিশ্ব মেনে নিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার মান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ এক বিশ্ব এক আন্দোলনের পক্ষে সওয়াল তোলেন। গোটা বিশ্বের কাছে জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় এক নতুন রূপরেখা দেন নমো। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে জীবনযাত্রাই (Lifestyle for Environment) একমাত্র পথ বলে মনে করছেন তিনি। আর এর জন্য সব দেশকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।