International Yoga Day 2023: মদ খেতে খেতে যোগাসন! বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ‘বিয়ার যোগ’-এর চর্চা

What is Beer Yoga: বিশ্বজুড়ে বাড়ছে 'বিয়ার যোগ'-এর চর্চা। তবে, এই বিশেষ ধরনের যোগাভ্যাস নিয়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে জেনে নিন, কী এই বিয়ার যোগ? কীই বা এর উপকারিতা?

International Yoga Day 2023: মদ খেতে খেতে যোগাসন! বিশ্বজুড়ে বাড়ছে 'বিয়ার যোগ'-এর চর্চা
বিয়ার যোগ (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 21, 2023 | 4:41 PM

কোপেনহাগেন: বুধবার (২১ জুন), আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। প্রথমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে আয়োজিত যোগ অধিবেশনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে জোর চর্চা চলছে ‘বিয়ার যোগ’ নিয়ে। ‘বিয়ার যোগ’ কথাটা শুনে মাথা ভোঁ ভোঁ করতে পারে। ‘বিয়ার’ একটি অ্যালকোহল-যুক্ত পানীয়। আর ‘যোগ ব্যায়াম’ হল শরীর চর্চার বিষয়। দূর-দূরান্ত অবধি এই দুইয়ের কোনও যোগ থাকার কথা নয়। কিন্তু, দুই মেরুতে থাকা এই দুই উপকরণকেই মিলিয়ে দিয়েছে ‘বিয়ার যোগ’। অর্থাৎ, বিয়ারের ক্যান হাতে নিয়ে যোগ ব্যায়াম করা। মাঝে মাঝে ক্যানে একটু চুমুকও দেওয়া যেতে পারে। আমেরিকা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, এমনকি, ভারতের অনেক শহরেও এখন ক্রমে জনপ্রিয়তা বাড়ছে ‘বিয়ার যোগ’-এর। তবে, এতে দেশি নেটিজেনদের একাংশ বেশ ক্ষুব্ধ। তাঁদের মতে, ভারতের এই ঐতিহ্যশালী অনুশীলন শুধু শরীরচর্চা নয়, আধ্যাত্মিক চর্চাও বটে। বিয়ার যোগ করে ভারতের এই ঐতিহ্যকে নষ্ট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন এই অংশ।

কয়েক সপ্তাহ আগেই ডেনমার্কের এক যোগ ক্লাসের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল। সেই ভিডিয়োতে যোগ ক্লাসে অংশগ্রহণকারীদের সকলের হাতে বিয়ারের ক্যান দেখা গিয়েছিল। বিয়ারের ক্যান হাতে নিয়েই আসন করছেন তাঁরা। আসন করতে করতে বা কোনও আসন শেষ করার পর সেই ক্যানে চুমুকও দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের। জানা গিয়েছিল, গত ৪ বথছর ধরে ডেনমার্কে বিয়ার যোগের চর্চা চলছে। তবে, এই নতুন ধরনের যোগাভ্যাসের শুরু হয়েছিল আমেরিকায়, ২০১৩ সাল নাগাদ। তারপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই যোগ অনুশীলন জনপ্রিয় হয়েছে। নিয়মিত বিয়ার যোগ যাঁরা করেন, তাঁদের মতে, এই ক্ষেত্রে ঐতিহ্যবাহী যোগাসনগুলির সঙ্গে, একসঙ্গে পানীয় উপভোগ করার সামাজিকতার মেলবন্ধন ঘটেছে। সাধারণত কোনও ব্রিউয়ারি, অর্থাৎ যেখানে মদ তৈরি হয়, এইরকম কোনও কেন্দ্রে বিয়ার যোগের ক্লাস নেওয়া হয়।

তবে, ঐতিহ্যবাহী যোগ যেখানে শরীর ও মন সুস্থ রাখে, সেখানে বিয়ার যোগ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর চর্চা বলে দাবি করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। সমালোচকদের আরও অভিযোগ, ঐতিহ্যশালী যোগাভ্যাসের মেজাজটাই বিয়ার যোগে পাওয়া যায় না। অন্যদিকে, বিয়ার যোগের সমর্থকদের মতে, মদ ও শারীরিক কসরত একসঙ্গে করায় ঐতিহ্যশালী যোগাভ্যাসে বৈচিত্র্য এসেছে। মদ্যপানের ফলে, অংশগ্রহণকারীরা অনেক বেশি খোলামেলা মনোভাব নিয়ে যোগচর্চা করেন। শুকনো যোগাভ্যাসের বদলে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে হাসাহাসি হয়, হালকা চালের গল্প হয়। আর এর ফলে, সামাজিক বন্ধনগুলি অনেক বেশি মজবুত হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সহজেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

বিয়ার যোগের উৎপত্তি নিয়ে বিশেষ চর্চা হয়নি। তবে, মনে করা হয় ২০১৩ সালে আমেরিকার নেভাডার মরুভূমিতে ‘বার্নিং ম্যান’ উৎসবের সময় প্রথম বিয়ার যোগের আয়োজন করা হয়েছিল। তারপর তেকে গত এক দশকে বিশ্বের বহু দেশে এই নতুন ধরনের যোগাভ্যাসের ক্লাস শুরু হয়েছে। ২০১৫ সালে আমেরিকার ওকলাহোমায় ‘বিয়ার যোগা’ নামে একটি সংস্থা স্থাপন করেছিলেন ব্রুক লার্সন। একই বছরে জার্মানির বার্লিনে ঝুলা নামে এক ব্যক্তি ‘বিয়েরযোগা’ নামে বিয়ার যোগের এক সংস্থা স্থাপন করেন। ইংল্যান্ডে এই রকম কোনও সংস্থা তৈরি না হলেও, বিভিন্ন পাবে-বারে বিয়ার যোগের ক্লাস নেওয়া হয়।