Kabul Children: প্রিয় বই হাতে নিয়ে হাঁফ ছাড়ল শিশুরা, হাসি ফুটল কাবুলে
Kabul Children: প্রায় তিন থেকে চার মাস এই মোবাইল লাইব্রেরি আসেনি এলাকায়। অবশেষে সেই লাইব্রেরিতে ফিরতে পেরে খুশি শিশুরা।
কাবুল: তালিবান (Taliban) ক্ষমতায় আসার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে আফগানিস্তানের (Afghanistan) শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। বিশেষত মেয়েদের পঠন- পাঠন আর চালানো যাবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। মাস কয়েক কেটে গেলেও এখনও অনেক স্কুল বন্ধ। তাই প্রিয় মোবাইল লাইব্রেরিতে উঠতে না পেরে হাঁপিয়ে উঠেছিল শিশুরা। অবশেষে বই ভর্তি সেই গাড়ি চালু করার অনুমতি দিয়েছে তালিবান। এরপরই আবার রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে সেই গাড়ি। প্রিয় বইগুলি আবার পড়তে পেরে খুশি কাবুলের শিশুরা।
আনন্দে মুখে হাসি ফুটেছে ১৮ বছরের আরেজো আজিজর মুখে। আবার তার পছন্দের বই হাতে পেয়েছে সেই কিশোরী। সে জানায় তিন মাস ধরে মোবাইল লাইব্রেরি আসেনি। স্কুল বন্ধ, বাইরে বেরনোও প্রায় বন্ধ। তাই ভাঙা বাসের মধ্যে তৈরি করা ওই লাইব্রেরিই একটু অক্সিজেন যোগাচ্ছে কিশোর-কিশোরীদের।
মোবাইল লাইব্রেরিটি তৈরি করেছিলেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রাক্তনী ফ্রেশতা করিম নামে এক আফগান। মোট ছটি বাস লিজ নিয়ে এই লাইব্রেরি গড়ে তোলে তোলা হয়। করিমের সংস্থার নাম চারমগজ। আফগানিস্তানে বিভিন্ন জায়গায় জনপ্রিয় হয় সেই চলন্ত পাঠাগার। স্কুলে স্কুলে লাইব্রেরির অভাব থাকায় অনেকেই এই মোবাইল লাইব্রেরির ওপর ভরসা করে।
সংস্থার অন্যতম কর্ণধার আহমেদ ফাহিম বারকাতি জানান, গত অগস্ট মাসে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে টাকা-পয়সার যোগান বন্ধ হয়ে যায় প্রায় পুরোপুরি। তাই এই মোবাইল লাইব্রেরি চালানো সম্ভব হয়ে উঠছে না সব সময়। তবে সপ্তাহ কয়েক আগে ওই পাঠাগার পুনরায় চালু করার অনুমতি দিয়েছে তালিবানের শিক্ষা মন্ত্রক। তার বেশ কয়েকদিন পর সেই নির্দেশ যায় পরিবহন মন্ত্রকের কাছে, যাদের হাতে রয়েছে ওই বাস গুলি। সব প্রক্রিয়ার পর অবশেষে আবার রাস্তায় নেমেছে এই চলন্ত পাঠাগার।
লাইব্রেরিয়ান রামজিয়া আবদি খাইলি কিশোর-কিশোরীদের মতোই খুশি। ২২ বছরের তরুণি রামদিয়া জানান, তালিবান ক্ষমতায় আসার পর নারীশিক্ষা ধাক্কা খেয়েছে অনেক জায়গাতেই। মেয়েদের স্কুলে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তাছাড়া পথশিশুরাও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। তাই তাদের জন্য কাজ করতে পেরে খুশি তিনি।
আরও পড়ুন : Nagaland Firing: ‘গণহত্যা’, ‘যুদ্ধাপরাধ’-এর সামিল! নাগাল্যান্ডের ঘটনায় সরব বিজেপি
ওই পাঠাগারে রয়েছে ইসলামিক বই, ইংরেজি বই, আঁকার বই ও বিভিন্ন গেম সংক্রান্ত বই। বরকতি জানিয়েছেন, চারমগজ নামে ওই সংস্থার কাছে যা টাকা আছে তাতে আর মাস খানেক ওই মোবাইল লাইব্রেরি চালানো সম্ভব হবে। সরকারি সাহায্য না পেলে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থা থেকে টাকা তুলে মোবাইল লাইব্রেরি চালানোর চেষ্টা করবে চারমগজ।
আরও পড়ুন : Nagaland Firing: আধা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে FIR, ‘খুনের উদ্দেশ্যেই গুলি’, বলছে পুলিশ