কমলার হাতে নতুন মাত্রা পাবে ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক, আশ্বাস সাদা বাড়ির

সাদা বাড়ির প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানিয়েছেন, ভারত ও আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সম্মান করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এবং তাঁর আমলে আরও মসৃণ হবে দুই দেশের সম্পর্ক।

কমলার হাতে নতুন মাত্রা পাবে ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক, আশ্বাস সাদা বাড়ির
ছবি- পিটিআই
Follow Us:
| Updated on: Jan 22, 2021 | 3:44 PM

ওয়াশিংটন: ট্রাম্প আমলে ভাল সম্পর্ক ছিল ভারত আমেরিকার। বাইডেন আমলেও কি সেই একই ধারা অব্যাহত থাকবে, এই প্রশ্নের কাটাছেড়া করতে শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলার (Kamala Harris) হাত ধরেই নাকি নতুন মাত্রা পেতে চলেছে ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক। সাদা বাড়ির প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানিয়েছেন, ভারত ও আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সম্মান করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এবং তাঁর আমলে আরও মসৃণ হবে দুই দেশের সম্পর্ক।

ভারতীয়-জামাইকান কমলা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ গ্রহণ করে ইতিহাস গড়েছেন। মার্কিন ইতিহাসে প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তাঁর নাম। শপথ গ্রহণের দিনই কমলা জানিয়েছিলেন, তাঁর মা শ্যামলা গোপালনই তাঁর ইচ্ছাশক্তির উৎস। হোয়াইট হাউসের কথায়ও স্পষ্ট, এই আমলে গুরুত্ব কমবে না ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের।

জেন সাকির কথায়, “প্রেসিডেন্ট বাইডেন একাধিকবার ভারতে গিয়েছেন। তিনি ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ককে সম্মান করেন।” এর আগে একাধিকবার ভারতে এসেছেন রাজীব। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ভারতের সঙ্গে বাইডেনের সংযোগ কতটা?

অতীতে জো বাইডেন কি ভারতের বন্ধু হিসাবে কাজ করেছেন?

উত্তর একেবারেই ভারতের পক্ষে। এর আগে একাধিকবার ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের উন্নতির জন্য কাজ করেছেন জো বাইডেন। ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে বাইডেন ছিলেন মার্কিন সেনেটের বিদেশ কমিটির সদস্য। তখন বারবার ভারতের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছেন তিনি। ২০০৬ সালে বাইডেন বলেছিলেন, “আমার স্বপ্ন ২০২০ সালে যেন ভারত ও আমেরিকা বিশ্বের সবচেয়ে কাছের দুটো দেশ হয়।” বাস্তবে ২০২০ সালে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মসনদ থেকে ছুড়ে ফেললেন মার্কিন নাগরিকরা, তখন কিন্তু ভারত ও আমেরিকা বিশ্বের অন্যতম কাছের দুটি দেশ। তবে সে কৃতিত্বও অনেকটাই ট্রাম্প-মোদীর। তাই বলা যায়, ট্রাম্পের হাতেই অনেকটা সফল হয়েছে বাইডেনের স্বপ্ন।

সেনেটর জো বাইডেন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দুই দলের সঙ্গেই ভারত ও আমেরিকার পরমাণু চুক্তির জন্য কাজ করেছেন। ২০০৮ সালে কার্যত তাঁরই নেতৃত্বে মার্কিন কংগ্রেসে পাশ হয়েছিল ভারত-আমেরিকা পরমাণু চুক্তি।

ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ভারতের জন্য কি করেছেন বাইডেন?

যতবার বারাক ওবামা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, ততবারই ভাইস প্রসিডেন্ট জো। তাঁর জমানায় আমেরিকা প্রথম নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সদস্য পদকে সমর্থন করে। ওবামা-বাইডেন আমলেই মার্কিন কংগ্রেস মঞ্জুর করে যে ভারতে আমেরিকার ‘অন্যতম প্রধান প্রতিরক্ষা সঙ্গী।’ এছাড়াও যখন আমেরিকার গদি ছাড়ছেন বারাক ওবামা, অর্থাৎ ২০১৬-এর একেবারে শেষের দিকে তিনটি ‘ফান্ডামেন্টাল প্যাক্টস’-এর গুরুত্বপূর্ণ ও প্রথম চুক্তি ‘লজিস্টিকস এক্সচেঞ্জ মেমোরান্ডাম অব এগ্রিমেন্ট (LEMOA)’স্বাক্ষরিত হয় দুই দেশের মধ্যে। যদিও পরে অবশ্য ট্রাম্প আমলে আরও দুই চুক্তি, ‘কোমকাসা’ ও ‘বেকা’ স্বাক্ষরিত হয়।