AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

US China war: চিনের সঙ্গে যুদ্ধ করব ২০২৫ সালে: মার্কিন জেনারেল

আমেরিকার এয়ারফোর্সের ফোরস্টার এক অফিসার সম্প্রতি জানিয়েছেন, তাঁর মনে হচ্ছে আগামী দুবছরের মধ্যে চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে আমেরিকা। যদিও এই দাবি একান্তই তাঁর মনে হওয়া।

US China war: চিনের সঙ্গে যুদ্ধ করব ২০২৫ সালে: মার্কিন জেনারেল
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Jan 29, 2023 | 1:52 PM
Share

ওয়াশিংটন: অর্থনৈতিক থেকে সামরিক কৌশল, চিনের সঙ্গে আমেরিকার ছায়াযুদ্ধ গত কয়েক বছর ধরেই চলছে। কোভিড পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক ধাক্কার পরও সেই সম্পর্ক মেরামত হয়নি। উল্টে মাস খানেক আগে ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে চিনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিনের প্রভাব ঠেকাতে তৎপরতা দেখিয়েছে আমেরিকাও। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধে নামবে পৃথিবীর শক্তিশালী এই দুই দেশ। সম্প্রতি আমেরিকা সেনার এক অফিসার বক্তব্যে সেই আভাস মিলেছে। আমেরিকার এয়ারফোর্সের ফোরস্টার এক অফিসার সম্প্রতি জানিয়েছেন, তাঁর মনে হচ্ছে আগামী দুবছরের মধ্যে চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে আমেরিকা। যদিও এই দাবি একান্তই তাঁর মনে হওয়া। তবে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের তরফে এ রকম কোনও বক্তব্য মেলেনি সাম্প্রতিক অতীতে।

আমেরিকার এয়ার ফোর্সের এয়ার মবিলিটি কম্যান্ডার হিসাবে কাজ করেন ওই অফিসার। নাম জেনারেল মাইক মিনিহান। তিনি বলেছেন, “আমার মন বলছে চিনের বিরুদ্ধে ২০২৫ সালের মধ্যে যুদ্ধ করতে পারি আমরা।” এর পরই তিনি বলেছেন, “আমি আশা করি, আমি ভুল হব।” যদিও মার্কিন অফিসারের ওই মন্তব্য যে পেন্টাগন কর্তৃপক্ষের নয় তা স্পষ্ট করা হয়েছে। কিন্তু মিনিহানের দেওয়া একটি চিঠিতে আশঙ্কা করা হয়েছে, আগামী ২০২৪ সালে সাধারণ নির্বাচন রয়েছে তাইওয়ানে। সেই নির্বাচনে চিন প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে ওই চিঠিতে। এমনকি নিজেদের অংশ বলে তাইওয়ানকে দাবি করা চিনা সেখানে সেনা হামলাও চালাতে পারে বলে আশঙ্কা। তা হলে আমেরিকাকে যুদ্ধ নামতেই হবে বলে মত মার্কিন অফিসারের।

যদিও চিনের সঙ্গে এখনই যুদ্ধে নামার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আমেরিকার ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে সাফ জানানো হয়েছে, “ওই অফিসারের মন্তব্য একান্তই ব্যক্তিগত। তাতে চিনের সম্পর্কে ডিপার্টমেন্টের অভিমতের প্রতিফলন নেই।” যদিও ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকার কর্তৃত্ব নিয়ে চিনের সঙ্গে টক্কর চলে আমেরিকার। ভারত মহাসাগরেও চিনকে ঠেকাতে কোয়াড গড়েছে চিন। চিনকে রুখতে আমেরিকার ভারত নির্ভরতাও গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু তাইওয়ান প্রণালীতে চিনের সেনার মহড়া যে আগামী দিনে আমেরিকা-চিনের বিবাদের কারণ হতে পারে, সেই আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়াও যাচ্ছে না।