AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

চরমে অন্তর্কলহ! সংসদ ভেস্তে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ‘কোণঠাসা’ ওলি

গত মঙ্গলবার নেপাল সরকার একটি অধ্যাদেশ জারি করে, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা আরও জোরদার করা হয়েছে

চরমে অন্তর্কলহ! সংসদ ভেস্তে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন 'কোণঠাসা' ওলি
ফাইল চিত্র
| Updated on: Dec 20, 2020 | 12:26 PM
Share

কাঠমাণ্ডু: মধ্যরাত পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি বৈদ্যদেবী ভাণ্ডারির সঙ্গে বৈঠকে করার পরই সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। রবিবার সকালে তড়িঘড়ি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন ওলি। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব।

‘কাঠমাণ্ডু পোস্ট’ সংবাদ মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, গত সপ্তাহে পাস হওয়া একটি অধ্যাদেশ তোলা নিয়ে ওলির সঙ্গে মতানৈক্য চরমে পৌঁছয় শাসক দল ‘নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির’ মধ্যেই। তাঁর বিপক্ষে থাকা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ও মাধব নেপালের সঙ্গে মতবিরোধের জেরেই ওলির এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন নেপালের রাজনৈতিক মহল। পষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ড, মাধব নেপাল এবং ঝালনাথ খালাং, এই তিন ব্যক্তি এর আগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে শনিবার বৈঠক হয় ওলির। তবে, কোনও রফাসূত্র মেলেনি। এরপর রবিবার রাষ্ট্রপতি বৈদ্যদেবীর সঙ্গে তাঁর বাসভবন ‘শীতল নিবাসে’ দেখা করতে যান প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, গভীর রাত পর্যন্ত আলাপ আলোচনা চলে তাঁদের।

গত মঙ্গলবার নেপাল সরকার একটি অধ্যাদেশ জারি করে, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা আরও জোরদার করা হয়েছে। এ নিয়ে দলের মধ্যেই মতবিরোধ তৈরি হয়। প্রচণ্ড, মাধব নেপালের মতো প্রবীণ নেতারা তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়ান। এই মুহূর্তে দলের মধ্যেই কোণঠাসা ওলি। তবে, শাসক দলের মধ্যে টানাপোড়েন বা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের মতবিরোধ প্রথম নয়।

আরও পড়ুন- ‘করোনা টিকা নিলে মানুষ কুমিরও হয়ে যেতে পারেন’, আজব যুক্তি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের

গত জুলাইয়ে কোণঠাসা হয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এনসিপি দলকে ভাগ করার। তার সঙ্গে ওলির গুরুতর অভিযোগ, তাঁর প্রতিপক্ষকে ক্রমাগত মদত দিচ্ছে ভারত। তাঁকে হটানোর চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করেন। সম্প্রতি ওলিকে দেখা গিয়েছে, কুর্সি ধরে রাখতে জাতীয়তাবাদের হিড়িক তুলেকে ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে। পাশাপাশি, বেজিংয়ের গুণগান করে গিয়েছেন। বিতর্কিত ম্যাপ প্রকাশ করে নয়া দিল্লিকে নিশানা করতেও পিছু-পা হননি নেপালের প্রধানমন্ত্রী।