বাতিল ‘সার্ক’ বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক, বেসরকারি সভা ডাকল নেপাল

SAARC foreign ministers' meeting: নেপালি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে সার্ক মন্ত্রী পরিষদের একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। ২০২১ সালেও সার্ক গোষ্ঠীর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক হয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের ফাঁকেই। বস্তুত, সার্ক গোষ্ঠীর অন্যতম দুই সদস্য, ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বে এই গোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

বাতিল 'সার্ক' বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক, বেসরকারি সভা ডাকল নেপাল
ক্রমে অস্তিত্ব সংকটে সার্ক গোষ্ঠীImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2023 | 10:43 PM

নিউ ইয়র্ক: রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের ফাঁকে হচ্ছে না সার্ক গোষ্ঠীর বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠক। ১৮ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশন। এর ফাঁকেই সার্ক গোষ্ঠীর বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সার্ক গোষ্ঠীর বর্তমান সভাপতি দেশ নেপাল। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তারা জানিয়েছে, এই বৈঠক হচ্ছে না। নেপালি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে সার্ক মন্ত্রী পরিষদের একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। ২০২১ সালেও সার্ক গোষ্ঠীর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক হয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের ফাঁকেই। বস্তুত, সার্ক গোষ্ঠীর অন্যতম দুই সদস্য, ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বে এই গোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

২০১৬-র ১৮ সেপ্টেম্বর, উরিতে ভারতীয় সেনা শিবিরে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর, সার্ক সম্মেলনে যোগ দিতে অস্বীকার করেছিল ভারত। সার্ক সদস্যদের ভারত স্পষ্ট জানিয়েছিল, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবাদকে লাগাতার মদত দেওয়া হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা উচিত। না-হলে ভারতের পক্ষে বৈঠকে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশ, ভুটান এবং আফগানিস্তানও সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে চায়নি। তাই শেষ পর্যন্ত শীর্ষ সম্মেলনটি বাতিল করা হয়েছিল। অন্যদিকে, ২০১৯ সালে কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করার পর থেকে, সার্ক গোষ্ঠীর সব বৈঠক বয়কট করেছে পাকিস্তান।

তবে, সার্ক গোষ্ঠীতে পাকিস্তানকে অপ্রাসঙ্গিক করে দিতে, কূটনৈতিক চ্যানেলে কথোপকথন চালিয়ে যাচ্ছে নয়া দিল্লি। মাস দুয়েক আগে সার্ক বৈঠকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, এই গোষ্ঠীর কোন সদস্য সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে, ভারতের পক্ষে সেই বৈঠকে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়। জয়শঙ্কর বলেন, “এখন আর সার্কের কথা খুব বেশি শোনা যায় না। কারণ, গত কয়েক বছরে, বলার মতো কিছু করেনি এই গোষ্ঠী। আমরা বৈঠকে যোদ দিইনি, কারণ সার্কের এক সদস্য, গোষ্ঠীর সদস্যপদের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা মেনে চলে না। এটাই আজ সার্কের চলার পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি আগেই বলেছি, সন্ত্রাসবাদের মদতদাতাদের সঙ্গে আমরা কাজ করতে পারব না। তবে, তা সত্ত্বেও এই গোষ্ঠীকে আমরা সহযোগিতা করে যাব।”