Parvez Musharraf: প্রয়াত পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুসারফ

দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

Parvez Musharraf: প্রয়াত পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুসারফ
পারভেজ মুসারফ।
Follow Us:
| Updated on: Feb 05, 2023 | 12:41 PM

ইসলামাবাদ: প্রয়াত পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মুসারফ (Parvez Musharraf)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। রবিবার পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্য়ম জিও নিউজের তরফে জানানো হয়, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা সেনা প্রধানের মৃত্যু হয়েছে। দুবাইয়ের আমেরিকান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, দীর্ঘ অসুস্থতার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর দেহ পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনা হবে কি না, সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।

দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন পারভেজ মুসারফ। ২০১৬ সাল থেকে দুবাইয়ে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তবে শেষ সময়ে তিনি দেশে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। জীবনের শেষ দিনগুলি পাকিস্তানেই কাটাতে চান বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর পরিবারের তরফেও দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণেই মুসারফকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।

১৯৪৩ সালে নয়া দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন পারভেজ মুসারফ। যখন তাঁর চার বছর বয়স ছিল, সেই সময় তাঁর পরিবার দেশভাগের আন্দোলনে যোগ দেন এবং পাকিস্তানে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। মুসারফের বাবা পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকে কাজ করতেন, মা শিক্ষিকা ছিলেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।

সাফল্য ও বিতর্কে মোড়া ছিল পারভেজ মুসারফের জীবন। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৮ সাল অবধি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। তাঁর নির্দেশেই কাশ্মীর দখলের চেষ্টা করে পাকিস্তান সেনা, যার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ফের একবার যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা করলে তিনি নিজেই আগেভাগে নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেন।

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর হত্যাকাণ্ডের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন মুসারফ। দেশ বিরোধী কার্যকলাপ, বিশ্বাসঘাতকতা ও সংবিধান রদ করার অভিযোগে তাঁকে ২০১৯ সালে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু পরে সেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদ করে দেওয়া হয়।

দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন পারভেজ মুসারফ। গত বছরের ১০ জুন মুসারফের পরিবারের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছিল, প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয়েছে যে সুস্থ হয়ে ওঠা আর সম্ভব নয়। একে একে তাঁর অঙ্গ-প্রতঙ্গ বিকল হয়ে যায়। ভেন্টিলেটরে না থাকলেও, জটিল রোগ অ্যামাইলোডোসিসে ভুগছেন তিনি। শারীরিক জটিলতা এমনই পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে আর সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব নয়।

জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে তিনি মধ্য প্রাচ্যে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে আর দেশে ফেরেননি। ২০১৮ সালে দুবাইয়ে চিকিৎসা চলাকালীন এই বিরল রোগ নির্ণয় হয়।

উল্লেখ্য, অ্য়ামাইলোডোসিস এমন একটি বিরল রোগ যাতে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে অস্বাভাবিক হারে প্রোটিন জমা হতে থাকে এবং শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপে বাধা সৃষ্টি করে।