Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pakistan: ২২০ টাকা কেজি পেঁয়াজ, কলার দাম ১০ টাকা! পাকিস্তানে জিনিসপত্রের দাম শুনলে চোখ উঠবে কপালে

Pakistan Inflation: চরম আর্থিক সংকটে ডুবে যাচ্ছে পাকিস্তান। পেঁয়াজ, আটা থেকে কলা - দাম শুনলে চোখ উঠবে কপালে।

Pakistan: ২২০ টাকা কেজি পেঁয়াজ, কলার দাম ১০ টাকা! পাকিস্তানে জিনিসপত্রের দাম শুনলে চোখ উঠবে কপালে
পাকিস্তানের এক বাজার (ছবি সৌজন্য - Getty Images)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 17, 2023 | 8:12 PM

ইসলামাবাদ: চরম আর্থিক সংকটে ডুবে যাচ্ছে পাকিস্তান (Pakistan inflation)। আটা-ময়দা থেকে শুরু করে তেল, খাদ্যশস্য – নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। খাদ্যের অভাবে খাইবার পাখতুনখোয়া, সিন্ধ, বেলুচিস্তানে দাঙ্গা বাধার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গমের লাইনে এত মানুষের ভিড় যে, পদদলিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। গমের বস্তা ভরা ট্রাক লুঠ করতে বাইক নিয়ে ধাওয়া করতে দেখা গিয়েছে আম পাকিস্তানিদের। যে হারে প্রতিদিন খাদ্যের দাম বাড়ছে, তাতে মানুষের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে। পাকিস্তানে, কনজিউমার প্রাইস ইনফ্লেশন ২০২১ সালে যেখানে ১২.৩ শতাংশ ছিল, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪.৫ শতাংশে। এই অবস্থায় পাকিস্তানে বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কত দাঁড়িয়েছে? আসুন দেখে নেওয়া যাক –

পাকিস্তানে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয় পেঁয়াজ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পেঁয়াজের দাম যা হয়েছে, তার সঙ্গে গত বছরের পেঁয়াজের দাম তুলনা করলে চোখ কপালে উঠবে। পাকিস্তানের প্রধান খাদ্য রুটি। কিন্তু, আটার যা দাম দাঁড়িয়েছে, তাতে পাকিস্তানিরা আর কতদিন রুটি তৈরি করতে পারবেন, তা নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ২০ কেজি আটার বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩০০০ টাকায়! ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানে ১ কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল গড়ে ৩৬। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সেই দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০ টাকায়! ২০২২-এ মসুর ডালের দাম ছিল প্রতি কেজি ১৫০ টাকা। এই বছর তা বেড়ে হয়েছে ২২৮ টাকা। আর এক কেজি মুগ ডাল ছিল ১৭১ টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ২৫২ টাকা। গত বছর প্রতি কেজি মুরগির মাংস বিক্রি হত ২১০ টাকায়। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৩৮৩ টাকা। ২০২২-এ প্রতি কেজি বাসমতি চালের দাম ছিল ১০০ টাকা। এই বছর তা বেড়ে হয়েছে প্রতি কেজি ১৪৬ টাকা। প্রতি কেজি সরিষার তেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৫৩২ টাকা। আর প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে ১৪৯ টাকায়। শুধু শাক-সবজি, খাদ্যশস্য বা দুধই নয়, হু হু করে দাম বেড়েছে ফলেরও। বর্তমানে একেকটি কলা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা করে।

পাকিস্তানে এই চরম মূল্যবৃদ্ধি ও খাদ্য সঙ্কটের মূল কারণ হিসেবে পাকিস্তান সরকার দায় চাপাচ্ছে বন্যার উপর। ২০২২-এ তিন মাস ধরে ভয়াল বন্যায় ভেসে গিয়েছিল পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। একরের পর একর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে বন্যার আগেও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব উন্নত ছিল না। বন্যার আগেও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রর দাম ছিল আকাশছোঁয়া। বন্যায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে।

শাহবাজ শরিফ সরকারের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার। ক্রমশ পাকিস্তানের মজুত বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ কমছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের হাতে বৈদেশিক মুদ্রা ছিল ২৩৯০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে, তা কমে হয়েছে ১১৪০ কোটি মার্কিন ডলার। ফলে, জ্বালানি তেল এবং অন্যান্য পণ্য আমদানি করাটাও পাকিস্তান সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি সেই দেশের ঋণের পরিমাণও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বর্তমানে ঋণের পরিমাণ দেশের জিডিপির ৭৭ শতাংশেরও বেশি। তার উপর, বর্তমান খাদ্য সঙ্কট কাটাতে পাক সরকার ফের ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বেরিয়েছে। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, আরও এক শ্রীলঙ্কা হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে পাকিস্তান।