Sheikh Hasina: পিতার মৃত্যু থেকে প্রধানমন্ত্রী গদি হারানো, আশ্রয় পেতে ভারতই ভরসা শেখ হাসিনার

Bangladesh Protest: তাঁর বাবা ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার। পূর্ব পাকিস্তানের ছায়া থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পদে বসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কথা বারবার শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবথেকে বেশিদিন প্রধানমন্ত্রীর গদি ছিল তাঁর দখলে। একাধিক উন্নয়নমূলক কাজও হয়েছে তাঁর আমলে। কিন্তু এর পাশাপাশি গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

Sheikh Hasina: পিতার মৃত্যু থেকে প্রধানমন্ত্রী গদি হারানো, আশ্রয় পেতে ভারতই ভরসা শেখ হাসিনার
শেখ হাসিনাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 05, 2024 | 9:18 PM

তাঁর বাবা ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার। পূর্ব পাকিস্তানের ছায়া থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পদে বসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কথা বারবার শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবথেকে বেশিদিন প্রধানমন্ত্রীর গদি ছিল তাঁর দখলে। একাধিক উন্নয়নমূলক কাজও হয়েছে তাঁর আমলে। কিন্তু এর পাশাপাশি গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। কোটা সংস্কার ঘিরে যে আন্দোলনের সূত্রপাত, সেই আন্দোলনের জেরেই পদত্যাগ করতে হল তাঁকে। ছাড়তে হল দেশ। তিনি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে। বাংলাদেশ ছেড়ে আপাতত তিনি ভারতে। আগামী দিনে তিনি কী করেন সে দিকেই এখন নজর বিশ্বের বিভিন্ন মহলের।

বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের) গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়াতে ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মান শেখ হাসিনা। তিনি ছিলেন মুজিবুরের প্রথম সন্তান। ১৯৬৮ সালে বিখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিঞাকে বিয়ে করেন তিনি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর গোটা পরিবারকে হত্যা করা হয়। যদিও সে সময় ইউরোপ সফরে গিয়েছিলেন হাসিনা, তাঁর স্বামী, সন্তান ও বোন রেহেনা। এর জেরে প্রাণে বেঁচে যান তাঁরা। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর প্রবল রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশে। সে সময় হাসিনারা ছিলেন ভারতের আশ্রয়ে। দীর্ঘ ৬ বছর লন্ডন ও দিল্লিতে নির্বাসনে ছিলেন হাসিনা।

১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। সে বছরই বাংলাদেশে ফেরেন তিনি। এবং বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। ১৯৯১ সালে আওয়ামি দল বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে আসে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসে আওয়ামি লিগ। প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। ২০০১ সালের নির্বাচনে হেরে যান তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ফের জেতে আওয়ামি লিগ। ২০০৯ সালে ফের প্রধানমন্ত্রী হন হাসিনা। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা চার বার প্রধানমন্ত্রী হন হাসিনা। যদিও এই সময় কালে একাধিক নির্বাচন নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠে। বাংলাদেশের একাধিক বিরোধী দল বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন বয়কটও করে। বাংলাদেশের অন্দরে হাসিনা বিরোধিতার সুর জোরালো হতে শুরু করে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে তা আরও মারাত্মক আকার ধারন করে। এই আন্দোলন ক্রমেই হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়। ছাত্রদের আন্দোলনে হাসিনা বিরোধীদের প্রভাব ক্রমেই বাড়তে থাকে। সেনা নামিয়ে, কার্ফু জারি করে, গুলি চালিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এক প্রকার বাধ্য হয়েই ৫ অগস্ট পদত্যাগ করতে বাধ্য হন হাসিনা। পদত্যাগের পর দেশ ছাড়তেও হয়েছে তাঁকে। বিশেষ হেলিকপ্টারে ত্রিপুরার আগরতলায় আসেন। সেখান থেকে তিনি সেনার বিশেষ বিমানে তাঁকে উড়িয়ে আনা হয় দিল্লির কাছে উত্তর প্রদেশের হিন্দন এয়ারবেসে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর ভারতের আশ্রয়েই ছিলেন হাসিনা ও তাঁর পরিবার। বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতা থেকে সরে গিয়েও হাসিনার ভরসা সেই ভারতই।