শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে ৯৫ শতাংশ কার্যকরী ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিন
ছাড়পত্র মিললে অ্যামেরিকায় এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হলেও ভারত এই ভ্যাকসিন পাবে না। কারণ, ভ্যাকসিনটি মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করে আমদানি করতে হবে, যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
TV9 বাংলা ডিজিটাল: তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালেও বাজিমাত করল ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজার(Pfizer)-র ভ্য়াকসিন (Vaccine)। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে,করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) বিরুদ্ধে লড়তে ৯৫ শতাংশ কার্যকরী এই ভ্যাকসিন। কয়েকদিনের মধ্যেই এই ভ্যাকসিন উৎপন্ন ও প্রয়োগের জন্য় সম্মতির আবেদন করার পরিকল্পনা করছে এই সংস্থা।
আজ সংস্থার তরফে জানানো হয়, বয়স্ক ব্যক্তিদেরও সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম এই ভ্যাকসিন এবং এর বিশেষ কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। মোট ১৭০ জন করোনা আক্রান্তের উপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, BNT162b2 নামক ভ্যাকসিনটির প্রথম ডোজ় প্রয়োগের ২৮দিন পর থেকেই কাজ করতে শুরু করে এবং তা ৯৫ শতাংশ কার্যকর।
ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার বিবৃতি আরও বলা হয়, “মার্কিন এফডিএ (US Food and Drug Administration)-র থেকে আপৎকালীন ব্যবহারে সম্মতি (Emergency Use Authorization)-র জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলি পূরণ করেছে এই ভ্যাকসিন। এখনও পর্যন্ত ভ্য়াকসিন ব্যবহারের সুরক্ষা নিয়ে কোনও গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। কয়েকদিনের মধ্যেই ভ্যাকসিনের গুণমান, সুরক্ষা ও কার্যকারীতার উপর সংগৃহিত তথ্যের ভিত্তি করে আপৎকালীন ব্য়বহারের অনুমতির আবেদন করা হবে।”
আরও পড়ুন: করোনার বর্ষপূর্তি! এখনও রোজ আক্রান্ত হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ, মৃত্যু হচ্ছে হাজারে হাজারে
ছাড়পত্র মিললে অ্যামেরিকায় এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হলেও ভারত এই ভ্যাকসিন পাবে না। কারণ, ভ্যাকসিনটি মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করে আমদানি করতে হবে, যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারের তরফ থেকে মঙ্গলবারই জানানো হয়, কোনওভাবে ফাইজার ভ্যাকসিনটি দেশে আনানো সম্ভব কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভি কে পাল, যিনি কোভিড-১৯ জাতীয় টাস্ক ফোর্সেরও সদস্য়, তিনি জানান, ভারতের জনসংখ্যার বিচারে য়ে পরিমাণ ভ্যাকসিন প্রয়োজন, তা পাওয়া যাবে না। তবে ভ্য়াকসিনটি সম্মতি পেলে কীভাবে তা ভারতে আনানো যায়, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে সরকার।
তিনি বলেন,”ফাইজার সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিনটি মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণের প্রয়োজন। এটি কেবল ভারত নয়, প্রতিটি দেশের কাছেই একটি বড় চ্যালেঞ্জ । তবে প্রয়োজন অনুযায়ী সরকারের তরফ থেকে এই ভ্যাকসিন আনানোর পদ্ধতি নিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”