Chinmoy krishna Das: জজের সামনেই আইনজীবীকে ‘হেনস্থা’, খারিজ চিন্ময়ের আগাম জামিন মামলা
Chinmoy Krishna Das: তাঁর আবেদনে শুনানি হয়নি কোর্টে। দায়রা আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম সেই আবেদন খারিজ করে দেন। উপযুক্ত ওকালত নামা না থাকার কারণে খারিজ। চট্টগ্রাম আদালতের কোনও আইনজীবী না থাকায় ওকালত নামা ছিল না।
কলকাতা: সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন এগিয়ে আনার আবেদন খারিজ চট্টগ্রাম আদালতে। বুধবার তিনটি মামলার আবেদন করেন রবীন্দ্র ঘোষ নামে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। তিনি ঢাকা থেকে এসেছিলেন চট্টোগ্রামে। কিন্তু তাঁর আবেদনে শুনানি হয়নি কোর্টে। দায়রা আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম সেই আবেদন খারিজ করে দেন। উপযুক্ত ওকালত নামা না থাকার কারণ দর্শিয়ে খারিজ হয় আবেদন। জানা যাচ্ছে চট্টগ্রাম আদালতের কোনও আইনজীবী না থাকায় ওকালত নামা ছিল না। তবে এখানেই শেষ নয়, একাত্তর বছর বয়সী ওই আইনজীবীকে বিচারকের সামনেই নিগ্রহ করা হয়েছে বলে উঠছে অভিযোগ।
বস্তুত, রবীন্দ্র ঘোষ ঢাকা শীর্ষ আদালতের আইনজীবী। চট্টগ্রাম আদালতের কোনও আইনজীবী চিন্ময় কৃষ্ণর পক্ষে সওয়াল করতে চাননি বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ ওঠে এর আগে বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয় চিন্ময়ের পক্ষে না সওয়াল করার।
এ প্রসঙ্গে টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, “আজ তো জামিনের শুনানি হয়নি। মহম্মদ ফিরোজ খান চিন্ময়কৃষ্ণ ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই কেস লড়তে আমি ঢাকা থেকে চট্টোগ্রামে এসেছি। আমরা ইতিমধ্যে একটি পিটিশন দিয়েছি। যে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে তার শুনানি যাতে দ্রুত করা যায় তার আবেদন জানিয়েছি। এর তারিখ যাতে এগিয়ে আনা হয় সেই কথাও বলেছি। কিন্তু জজ সাহেব অত্যন্ত চাপাচাপি করেছে। অপরপক্ষের তিরিশ চল্লিশ আইনজীবী আমায় ধাক্কা মেরেছে। আমি অসুস্থ মানুষ। হাঁটতে পারি না। আমার ৭৫ বছর বয়স। জজ সাহেবের সামনেই কোর্টের ভিতরে নিগ্রহ করেছে। আমি মামলার শুনানি করতে চেয়েছিলাম। করতে দেওয়া হয়নি। যেহেতু আমরা নিম্ন আদালতে বিচার পেলাম না তাই হাইকোর্টে যাব পরে।” প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল চিন্ময়কৃষ্ণকে। এরপর তাঁর মামলাটি আদালতে ওঠে। তবে সেই সময় কোনও আইনজীবী তাঁর হয়ে না লড়ায় মামলা খারিজ হয়। তবে আগাম জামিনের মামলার শুনানি হবে আগামী ২ জানুয়ারি।