George Floyd Case: জর্জ ফ্লয়েড কাণ্ডের ফয়সালা, সাড়ে ২২ বছর জেল পুলিশ আধিকারিক শভিনের

সুমন মহাপাত্র

সুমন মহাপাত্র |

Updated on: Jun 26, 2021 | 2:56 PM

George Floyd Case: ‘সেকেন্ড ডিগ্রি’ অনিচ্ছাকৃত খুন, ‘থার্ড ডিগ্রি’ খুন ও ‘সেকেন্ড ডিগ্রি’ নরহত্যা, এই তিন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল ডেরেক শভিন।

George Floyd Case: জর্জ ফ্লয়েড কাণ্ডের ফয়সালা, সাড়ে ২২ বছর জেল পুলিশ আধিকারিক শভিনের
ফাইল চিত্র

Follow us on

ওয়াশিংটন: গত বছর মে মাসের শেষের দিকে সারা আমেরিকা (USA) জুড়ে উঠেছিল ‘ব্ল্যাক লাইভস মেটারস’ স্লোাগন। আন্দোলন আমেরিকা ছাড়িয়েও পৌঁছে গিয়েছিল বিশ্বের কোণে কোণে। সারা বিশ্ব জুড়ে উঠেছিল কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের বিচারের দাবি। অবশেষে বিচার মিলল। অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক ডেরেক শভিনকে খুনের মামলায় আগেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল ১২ সদস্যের জুরি প্যানেল। এ বার সাড়ে ২২ বছর জেল খাটার সাজা পেল ডেরেক শভিন।

ডেরেক শভিনের বিরুদ্ধে যে তিন অভিযোগ ছিল তার প্রত্যেকটিই আদালতে প্রমাণিত হয়েছিল। ‘সেকেন্ড ডিগ্রি’ অনিচ্ছাকৃত খুন, ‘থার্ড ডিগ্রি’ খুন ও ‘সেকেন্ড ডিগ্রি’ নরহত্যা, এই তিন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল ডেরেক শভিন। সাজা ঘোষণার আগে আদালত মৃত জর্জ ফ্লয়েডের ৭ বছরের মেয়ের ভিডিয়ো মেসেজ দেখে। যেখানে ছোট্ট মেয়ে বলছে, “আই মিস ইউ, আই লাভ ইউ।” সাজা ঘোষণার সময় বিচারপতি পিটার কাহিল বলেন, “শভিন এই সাজা পাচ্ছে তার কারণ বিশ্বাস, অথরটি ও জর্জ ফ্লয়েডের ওপর অত্যাচার করায়।”

সাজা ঘোষণার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “আমি জানি না কোন কোন ক্ষেত্র বিবেচনা করা হয়েছে, তবে যা হয়েছে একেবারে ঠিক হয়েছে বলে আমার মনে হয়।” ফ্লয়েড পরিবারের আইনজীবী বেন ক্রাম্প টুইট করে লিখেছেন, “ফ্লয়েড পরিবার ও আমাদের দেশ আরও এক ধাপ এগোল।” আদালতে ফ্লয়েড পরিবারকে সমবেদনা জানায় শভিন।

আই ক্যানট ব্রিথ: ২৫ মে, ২০২০। জাল নোটে ব্যবহার করার অভিযোগে জর্জ ফ্লয়েডকে আটক করে পুলিশ। এরপর একটি গাড়ির তলায় শুইয়ে তাঁর ঘাড়ে হাঁটু চাপা দিয়ে বসে থাকে পুলিশ আধিকারিক ডেরেক শভিন। নারকীয় হত্যালীলা দেখতে থাকেন আরও ৩ পুলিশকর্মীও। জর্জ ফ্লয়েডের ‘আই ক্যানট ব্রেথ’ আর্তনাদের পরও কেউ এগিয়ে আসেননি। অবশেষে মৃত্যু হয় ফ্লয়েডের। সেই ভিডিয়োকে হাতিয়ার করে আমেরিকার সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে বড় আন্দোলন ‘ব্ল্যাক লাইভস মেটারস’ সংগঠিত হয়। যা খেলার মাঠ থেকে প্রত্যেক দেশের কোণায় কোণায় পৌঁছে যায়। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া হাতে আন্দোলন দমন করলেও তা কমেনি। গোটা বিশ্ব জুড়ে স্লোগান ওঠে ‘আই ক্যানট ব্রিথ।’

আরও পড়ুন: ছুরি নিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ, জোড়া আততায়ীর হামলায় ৩ ব্যক্তির মৃত্যু জার্মানিতে

Latest News Updates

Related Stories

Click on your DTH Provider to Add TV9 Bangla