Omicron Test Kit: টেস্ট কিটে ধরা পড়বে ওমিক্রন! গবেষণার নয়া দিগন্ত খুলছে সুইস সংস্থার হাত ধরে

Omicron Test Kit: কোভিড-১৯ এর নতুন সংস্করণ ওমিক্রন। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিডের এই নতুন সংস্করণের প্রথম শনাক্ত করেন চিকিৎসক অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় টিকা নেওয়া এবং না নেওয়া দুই ধরনের মানুষের শরীরেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে, তবে তার লক্ষণ অতি সামান্যই।

Omicron Test Kit: টেস্ট কিটে ধরা পড়বে ওমিক্রন! গবেষণার নয়া দিগন্ত খুলছে সুইস সংস্থার হাত ধরে
ওমিক্রনের উপসর্গ কী? (ছবিটি প্রতীকী)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2021 | 11:08 PM

নয়া দিল্লি : ওমিক্রন নিয়ে চিন্তায় গোটা দুনিয়া। ভারতে তৎপরতার সঙ্গে খোঁজা হচ্ছে, কাদের নমুনায় এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট আছে। এরই মধ্যে করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে নয়া আবিষ্কার সুইস সংস্থার। সুইস ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা রোশে তৈরি করছে টেস্ট কিট। যাতে সহজেই ধরা পড়বে ওমিক্রন। করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করতে গবেষকদের সাহায্য করবে নতুন তিনটি টেস্ট কিট।

শুক্রবার রোশ সংস্থার তরফ থেকে জানিয়েছেন, রোশ এর প্রধান থমাস শিনেকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, একটি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা বিশেষত করোনাভাইরাসের নতুন ওমিক্রমন শনাক্ত করতে সক্ষম। এর বৈশিষ্ট্য এবং ছড়িয়ে পড়ার ধরন সম্পর্কে জানতে এই পরীক্ষা সাহায্য় করবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, বর্তমানে যে সব পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে তা দিয়ে মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের যে কোনও ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা সম্ভব। সাধারণ আরটি- পিসিআর পরীক্ষাতেই ওমিক্রন আর ডেল্টার মধ্যে পার্থক্য করা যায় না। তাই এখনও পর্যন্ত ডব্লিউএইচও বিকল্প হিসেবে মার্কিন কোম্পানি থারমো ফিশারের টাকপাথ পরীক্ষার কথা জানিয়েছে।

রোশ জানিয়েছে, তাদের এবং টিআইবি মলবিওলের নতুন টেস্ট কিট কেবল গবেষকরাই ব্যবহার করতে পারবেন আপাতত। এতে করোনাভাইরাসের অন্যান্য ধরনের তুলনায় ওমিক্রনের মিউটেশনকে আলাদা করে চেনা যাবে। ওমিক্রন শনাক্ত করতে গবেষকদের জন্য সাহায্য করবে এই টেস্ট কিট। করোনাভাইরাসের অন্যান্য ধরনের তুলনায় ওমিক্রন কতটা ভয়াবহ, তা নিয়ে গবেষণা করতে পারবেন তাঁরা।

কোভিড-১৯ এর নতুন সংস্করণ ওমিক্রন। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিডের এই নতুন সংস্করণের প্রথম শনাক্ত করেন চিকিৎসক অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি। সম্প্রতিই তিনি দেশে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রকাশ পাওয়া লক্ষণগুলির ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন। সর্বভারতীয় এক চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় টিকা নেওয়া এবং না নেওয়া দুই ধরনের মানুষের শরীরেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে, তবে তার লক্ষণ অতি সামান্যই।

তিনি বলেছেন, ‘সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে এবং পজিটিভিটির হার দাঁড়িয়েছে ১৬.৫ শতাংশে। টিকাকরণ হওয়া, না হওয়া মানুষ এবং শিশুদের মধ্যে এর সামান্য লক্ষণ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। সম্পূর্ণ টিকাকরণ হওয়া এক ব্যক্তির আবার সংক্রমিত হওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে।’

আরও পড়ুন : Mamata-Adani Meeting: টাটাকে ‘তাড়ানো’ তৃণমূলের রাজত্বে আদৌ বিনিয়োগ করবে আদানিরা? প্রশ্ন বিরোধীদের