Russia-Ukraine War: এঁটে উঠতে পারছে না ইউক্রেনের সঙ্গে, গোটা দেশকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দিতে নতুন ‘ফন্দি’ পুতিনের
Russia-Ukraine War: রবিবারই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, "কোনও সামরিক ঘাঁটি নয়, রাশিয়ার সেনাদের লক্ষ্য সাধারণ মানুষ যাতে বিদ্যুৎ ও তাপ পরিষেবা না পায়"।
কিয়েভ: যুদ্ধ শুরু করেছিল নিজেরাই, মাস সাতেক কেটে গেলেও থামেনি সেই যুদ্ধ। এদিকে, ক্রমাগত যুদ্ধে ছোট্ট দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে আর পেরে উঠছে না শক্তিধর রাশিয়া। একে একে হাতছাড়া হচ্ছে দখল করা সমস্ত শহরই। বিপাকে পড়েই এবার ‘বিকল্প পথ’ অনুসরণ করে ইউক্রেনকে বিপদে ফেলতে মরিয়া রাশিয়া। ইচ্ছাকৃতভাবেই ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির উপরে হামলা চালানোর জেরে অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে প্রায় গোটা দেশ।
বিগত দুইদিন ধরেই অন্ধকারে ডুবে রয়েছে গোটা পূর্ব ইউক্রেন। বিদ্যুৎহীন বিস্তীর্ণ অঞ্চল। লাগাতার মিসাইল বর্ষণে বিপর্যস্ত বিদ্য়ুৎ পরিষেবা। ইউক্রনের এই পরিস্থিতির জন্য মস্কোকেই বিঁধলেই সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি জানান, রণক্ষেত্রে পরাস্ত হয়ে এবার সাধারণ নাগরিকদের নিশানা করছে রুশ সেনা। তাদের ব্যবহৃত ও নিত্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা ব্যাহত করার জন্যই লাগাতার হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনা।
⚡Ukrainian President Zelensky confirmed a massive blackout in the eastern regions of Ukraine. Eyewitnesses post footage of the consequences of strikes on critical infrastructure. In Kharkiv, due to power outages, the subway stopped, people go through the tunnels on foot pic.twitter.com/FgklBOlTmt
— Ricardo Champs ?? ?? ?? (@ricchamps9) September 12, 2022
ইউক্রেনের সেনার কাছে পরাস্ত হয়েই রাশিয়ার সেনাবাহিনী তাঁদের প্রধান ঘাঁটি খারকিভ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। তবে এত সহজে হার মানার পাত্র তারাও নয়। রুশ সেনা এবার পানীয় জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রগুলির উপরে হামলা চালাচ্ছে। মূলত খারকিভের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে হামলা চালানোয় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে খারকিভ, দোনেৎস্ক, ঝাপোরজ়িয়া, সুমিতে।
রবিবারই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “কোনও সামরিক ঘাঁটি নয়, রাশিয়ার সেনাদের লক্ষ্য সাধারণ মানুষ যাতে বিদ্যুৎ ও তাপ পরিষেবা না পায়”। জেলেনস্কি জানান, ছয় মাসের এই যুদ্ধে সাফল্য় পেতে শুরু করেছে ইউক্রেনের সেনা। ইতিমধ্যেই খারকিভকে রুশ সেনার হাত থেকে স্বাধীন করেছে। ইউক্রেন যদি আরও অস্ত্র সাহায্য পায়, তবে আসন্ন শীতের মধ্যে আরও অঞ্চল রুশ সেনাদের হাত থেকে মুক্ত করতে পারবে।
ইউক্রেনে উপস্থিত মার্কিন অ্যাম্বাসডর ব্রিজেট ব্রিঙ্কও রাশিয়ার হামলার কথা স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, “ইউক্রেন যেহেতু নিজেদের পূর্বের শহর ও গ্রামগুলিকে স্বাধীন করে নিয়েছে, তার বদলা নিতেই রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোগুলির উপরে মিসাইল হামলা চালাচ্ছে। এরফলে বিদ্যুৎ ও জল পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে।”