Russia-Ukraine Conflict: বন্ধ হতে পারে রাশিয়ার সামরিক অভিযান! কিয়েভের কাছে কোন চারটি শর্ত রাখল মস্কো?

Russia-Ukraine Conflict: ইউক্রেনের তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করে।

Russia-Ukraine Conflict: বন্ধ হতে পারে রাশিয়ার সামরিক অভিযান! কিয়েভের কাছে কোন চারটি শর্ত রাখল মস্কো?
ছবি: সংবাদ সংস্থা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 08, 2022 | 6:56 AM

মস্কো: ইউক্রেনে রাশিয়ান হামলা (Russia-Ukraine Conflict) ইতিমধ্যে ১২ দিন অতিক্রান্ত। বিশ্বব্যাপি রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) আগ্রাসী নীতি সমোলোচিত হয়েছে, তবে তাতে বিন্দুমাত্র পিছনে সরে আসতে রাজি হননি রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট। মুহুর্মুহু রুশ গোলাবর্ষণে ইউক্রেনের একের পর এক শহর ছাড়খাড় হয়ে গিয়েছে। যুদ্ধ থামাতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার আলোচনার টেবিলে বসেছে ইউরোপের প্রতিবেশি এই দুই দেশ তবে এখনও যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। এর মাঝেই যুদ্ধ ও সেনা অভিযান বন্ধ করতে রাজি হয়েছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেন রাশিয়ার দেওয়া চারটি শর্ত মেনে নিলে তবেই সেনা অভিযান থামতে পারে বলেই জানিয়েছে মস্কো। এক মুহূর্তের মধ্যে থেমে যেতে পারে সেনা অভিযান, তবে সেক্ষেত্রে রাশিয়ার দেওয়া শর্ত মেনে নেওয়া আবশ্যক। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র। এখনও অবধি এই প্রথম ইউক্রেন ইস্যুতে স্পষ্টভাবে মুখ খুলল ক্রেমলিন।

কী কী শর্ত দিল ক্রেমলিন?

  • ক্রেমলিনের মুখপাত্র জানিয়েছেন রাশিয়া, বাস্তবে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে চায় এবং তার সেটি বন্ধ করবেও। তবে ইউক্রেনকে ও সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে। এবং সামরিক অভিযান বন্ধের পর কোনওভাবেই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া যাবে না।
  • ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, ইউক্রেনের উচিৎ সংবিধান সংশোধন করা এবং সেই সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী ইউক্রেনে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ হবে।
  • আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ শর্ত রেখেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র। তিনি জানিয়েছেন ক্রিমিয়াকে রাশিয়ান ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
  • যুদ্ধ ঘোষণার আগেই ইউক্রেনের বিদ্রোহী প্রদেশ দোনেটস্ক এবং লুগানস্ককে স্বাধীন প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমিলিনের মুখপাত্র সোমবার জানিয়েছেন এই দুটি প্রদেশকে স্বাধীন হিসেবে ইউক্রেন স্বীকৃতি দিলে যাবতীয় সমস্যা সমাধান হবে এবং সামরিক অভিযান থেমে যাবে।

ইউক্রেনের তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করে। এই আক্রমণের ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম ইউরোপ জুড়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সব মহলে রাশিয়ার আক্রমণ সমোলোচিত হয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

আরও পড়ুন Russia-Ukraine Conflict: অব্যাহত রুশ গোলাবর্ষণ, হাতে বাদ্যযন্ত্র তুলে নিলেন এক শিল্পী, দেখুন মন ভাল করা ভিডিয়ো