Russia-Ukraine War: ইউক্রেন দখলে নয়া চাল, ১০ হাজার সেনা জওয়ান নিয়ে বাজিমাৎ করতে পারে রাশিয়া!
Russia-Ukraine Conflict: রাশিয়া পূর্বের সামরিক ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এই পরিকল্পনা করছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, ফেব্রয়ারি মাসের ২৪ তারিখ অতর্কিতে ইউক্রেনে হানা দিয়েছিল রাশিয়া।
ওয়াশিংটন: একমাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত, কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) এখনও থামার কোনও সম্ভাবনাই নেই। ইউক্রেন নিয়ে জেদ ধরে বসে আছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। কোনওভাবেই তাই নিজেদের দেওয়া শর্ত থেকে পিছু হঠতে রাজি নয় মস্কো। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির (Volodymyr Zelenskyy) নেতৃত্বে লড়াই করে রুশ সেনাকে অনেকেটা রুখে দিলেও, আক্রমণের মুখে বিধ্বস্ত অবস্থা ইউক্রেনের। চারিদিকে শুধুই ধ্বংসের ছবি। দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার আলোচনা হলেও এখনও অবধি কোনও সমঝোতা সূত্র বের হয়নি। এর মধ্যেই নতুন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আমেরিকা। আমেরিকার আশঙ্কা সত্যি হলে, তা ইউক্রেনের জন্য অনেক বড় ধাক্কা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান সোমবার জানিয়েছেন, রাশিয়া সম্ভবত পূর্ব ইউক্রেনে ১০ হাজার সেনা জওয়ান মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে।
হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুলিভান বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের মনে হচ্ছে, রাশিয়ার লক্ষ্য বদলে গিয়েছে। তারা ইউক্রেনের দক্ষিণ দিকের তুলনায় পূর্ব দিকের ওপরই বেশি নজর দিচ্ছে।” তাঁর মতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে নিজেদের দেশের মধ্যে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। রাশিয়া পূর্বের সামরিক ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এই পরিকল্পনা করছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, ফেব্রয়ারি মাসের ২৪ তারিখ অতর্কিতে ইউক্রেনে হানা দিয়েছিল রাশিয়া। নিজেদের দেশের নাগরিকদের রক্ষার্থে এই যুদ্ধকে ‘সামরিক অভিযান’ আখ্যা দিয়েছিল মস্কো। তবে অনেকেই মনে করছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এই ধরনের যুদ্ধ আর হয়নি।
সুলিভান জানিয়েছেন, খুব দ্রুত বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনের জন্য নতুন করে সামরিক সাহায্য ঘোষণা করবে। তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার ওপর আরও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা চাপান হতে পারে। সেই নিয়ে ইউরোপের বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে। সুলিভানের মতে, ইউক্রেনের চেয়ে রাশিয়ার সামরিক শক্তি অনেকে বেশি হলেও ইউক্রেনকে কাবু করতে এতদিন সময় লাগবে, তা ভাবতে পারেনি মস্কো। পূর্বদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রভাব থাকলেও সেই নিয়ন্ত্রণ এবার নিজেদের হাতে তুলে নিতে চাইছে মস্কো। এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি কোন দিকে যায় এবং আমেরিকার আগামী দিনে কী পদক্ষেপ নেয় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।