Russia-Ukraine Conflict: ইউক্রেনকে চাপে ফেলতে নয়া চাল পুতিনের! ‘সার্বভৌমত্বে’র দোহাই দিয়ে দেশের বাইরেও ক্ষমতা দেখাবে রুশ সেনা
Russia-Ukraine Conflict: সূত্রের খবর, ইউক্রেনে যে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি রয়েছে, তাদের ইউক্রেনের সেনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুতিন। ২০১৪ সাল থেকেই এই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি ইউক্রেনের সেনার বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে।
মস্কো: ধীরে ধীরে আরও বড় সংঘাতের আকার নিচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেনের দ্বন্দ্ব (Russia-Ukraine Conflict)। সীমান্তে সমরসজ্জা বাড়ানো থেকে যে বিরোধের সূত্রপাত হয়েছিল, তারপরে জল বেশ অনেকটাই গড়িয়েছে। ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী বেশ কিছু অঞ্চলে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবারই ইউক্রেনের দুই অঞ্চল, দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন(Vladimir Putin)। এরপরই আমেরিকার তরফে পশ্চিমী আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরও সামরিক সহায়তার অনুমতি দিল রাশিয়ার সংসদ। মঙ্গলবারই রাশিয়ার সংসদের উচ্চকক্ষের তরফে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অনুমতি দেওয়া হয় যে তিনি প্রয়োজনে দেশের বাইরেও রাশিয়ার সেনাদের (Russian Force) ব্যবহার করতে পারবেন। ইউক্রেনের যে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তাদের সহায়তা করার জন্যই এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, মোট ১৫৩ জন সেনেটর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন। কোনও সেনেটরই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা বা পর্যালোচনার দাবি জানাননি। উল্লেখ্য, সম্প্রতিই রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল যে তাদের ইউক্রেনের পূর্ব অংশে সেনা পাঠানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে মঙ্গলবারই পুতিন রাশিয়ার ফেডেরেশন কাউন্সিলের কাছে দেশের বাইরে সৈন্য ব্যবহারের অনুমতি চান এবং সংসদে সেই প্রস্তাবে সায়ও জানানো হয়।
সূত্রের খবর, ইউক্রেনে যে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি রয়েছে, তাদের ইউক্রেনের সেনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুতিন। ২০১৪ সাল থেকেই এই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি ইউক্রেনের সেনার বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। একাধিকবার দেশের বিভিন্ন অংশ দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করেছে ওই শক্তি।
গতকাল পুতিনের অনুরোধকে মান্যতা দিয়ে ফেডেরেশন কাউন্সিল রাশিয়ার বাইরেও সেনা ব্যবহারের অনুমতি দেয়। এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিকোলাই প্যানকোভ বলেন, “দুই দেশের মধ্যে আলোচনা আপাতত স্থগিত রয়েছে। ইউক্রেনের নেতৃত্ব হিংসা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পথই বেছে নিয়েছে। আমাদের কাছে অন্য কোনও উপায় নেই আর।”
প্যানকোভের দাবি, পূর্ব ইউক্রেনের সীমান্তের ডিএনআর ও এলএনআর নামক দুটি অঞ্চল, যা বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়, সেখানে বিপুল সংখ্যক সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র বোঝাই গাড়ি দেখা গিয়েছে। ন্যাটোর গতিবিধির জন্যই ওই এলাকায় উত্তেজনা বাড়ছে বলে দাবি। ইউক্রেনকে ন্য়াটো বাহিনী অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে রাশিয়ার তরফে।
দেশের বাইরে সেনা ব্যবহারের সিদ্ধান্তের সাফাই গেয়ে বলা হয়েছে, অন্যান্য দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে এবং ইউক্রেনের আগ্রাসন রুখতেই রাশিয়া সুরক্ষার খাতিরে নিজেদের সেনা ব্যবহার করবে।