দক্ষিণ আফ্রিকা না ব্রিটেন! করোনার নয়া ‘স্ট্রেনের’ তীব্রতা নিয়ে জোর তরজা

মখিজে সাফ বলেন, "ব্রিটিশ মন্ত্রীর কথা শুনে মনে হতে পারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী দক্ষিণ আফ্রিকার 'স্ট্রেন', কিন্তু তা সঠিক নয়।"

দক্ষিণ আফ্রিকা না ব্রিটেন! করোনার নয়া 'স্ট্রেনের' তীব্রতা নিয়ে জোর তরজা
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Dec 25, 2020 | 7:06 PM

জোহানেসবার্গ: করোনার (COVID) দুই ‘স্ট্রেন’ নিয়ে সারা বিশ্বের চিন্তা। ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকা, দুই দেশ থেকেই ছড়াচ্ছে অভিযোজিত ‘নতুন’ করোনাভাইরাস। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সে দেশে যে নয়া ‘স্ট্রেন’ ছড়াচ্ছে তা ৭০ শতাংশ অধিক সংক্রামক। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ-ও জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ‘স্ট্রেন’-এর সংক্রমণ ক্ষমতা আরও বেশি। কিন্তু এবার সেই দাবি নস্যাৎ করল দক্ষিণ আফ্রিকা।

সে দেশের স্বাস্থ্য়মন্ত্রী জুয়েলিনি মখিজে বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, এখনও এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি যে নতুন ৫০১.ভি২ স্ট্রেন ব্রিটেনের ‘স্ট্রেন’-এর থেকে বেশি সংক্রামক। পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান, এমনও কোনও প্রমাণ নেই যে দক্ষিণ আফ্রিকার ‘স্ট্রেনে’ মৃত্যুর হার বেশি।

শুধু তাই নয়, করোনা প্রসঙ্গে ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি নস্যাৎ তো বটেই পাশাপাশি কার্যত সব দোষ চাপানোর চেষ্টা করলেন ব্রিটেনেরই ঘাড়ে। মখিজে সাফ বলেন, “ব্রিটিশ মন্ত্রীর কথা শুনে মনে হতে পারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী দক্ষিণ আফ্রিকার ‘স্ট্রেন’, কিন্তু তা সঠিক নয়।”

দক্ষিণ আফ্রিকার ১ মাস আগেই ব্রিটেনের ‘স্ট্রেন’ ছড়াতে শুরু করেছিল। একথাও জানানল মখিজে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নয়া ‘স্ট্রেন’ সম্পর্কে জানিয়েছিলেন তা ৭০ শতাংশ অধিক সংক্রামক। তার ফলেই ব্রিটেনের করোনা পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’ এই কথা প্রকাশ্যে আসার পরই একে একে ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে শুরু করে একের পর এক দেশ।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশেও করোনার নতুন ‘স্ট্রেন!’ মিল ব্রিটেনের সঙ্গে

সেই সিদ্ধান্তেরও তীব্র সমালোচনা করেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মখিজে। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের নয়া ‘স্ট্রেন’-এর হদিশ মিলেছে ভারতেও। দিল্লি বিমানবন্দরে লন্ডন ফেরত এক মহিলার নমুনা পরীক্ষা করে একথা জানতে পেরেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ওই মহিলা কোয়ারেন্টাইন ছেড়ে পালিয়ে ট্রেন সফর করে দিল্লি থেকে ভিন রাজ্যে যান। যার ফলে সারা দেশে দেখা দিয়েছে নয়া ‘স্ট্রেন’ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা।