World’s scariest prison: নরকের চেয়েও ভয়ঙ্কর, বিশ্বের এই কারাগারগুলিতে মানুষ একবার গেলে আর ফেরে না

World's scariest prison: রাশিয়ার পেটাক আইল্যান্ডের কারাগারও রয়েছে এই তালিকায়। এখানে বর্তমানে রয়েছেন ১৯৩ জন বন্দি। প্রত্যেকেই যাবজ্জীবনের সাজা খাটছেন।

World's scariest prison: নরকের চেয়েও ভয়ঙ্কর, বিশ্বের এই কারাগারগুলিতে মানুষ একবার গেলে আর ফেরে না
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 15, 2023 | 10:08 PM

কলকাতা: এই জায়গায় ছবি নরকের থেকেও ভয়ঙ্কর। এখানে যাবজ্জীবন কারাবাসের পরিবর্তে বন্দিরা মৃত্যুদণ্ডকেই সাজা হিসাবে বেছে নিতে চাইবে। পৃথিবীর যে কোনও জেলই বন্দিদের জন্য সর্বদাই এক জীবন্ত দুঃস্বপ্ন।  কিন্তু, বিশ্বের নানা প্রান্তে কিছু জেল রয়েছে যেখানে জীবন যেন আস্ত নরকের মতোই। এখানে যে সাজা দেওয়া হয় তা দেখে অনেকেই বলেন এর থেকে মৃত্যুও অনেক ভাল। এরমধ্যে অন্যতম রাশিয়ার ব্ল্যাক ডলফিন কারাগার। এই কারাগারকে বিশ্বের সবথেকে ভয়ানক জেল হিসাবে মনে করা হয়। কাজাকিস্তানের বর্ডারের পাশে রয়েছে এই উচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টনীতে থাকা এই কারাগার (World’s scariest prison)। এটাই রাশিয়ার সবথেকে পুরনো জেল। 

এখানে রয়েছে একটি কালো ডলফিনের স্ট্যাচু। সেখান থেকেই কারাগারটির এই অদ্ভূত নাম হয়েছে। যে সময় কয়েদিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, দেশদ্রোহিতা, খুনের অভিযোগ রয়েছে তাঁদেরকেই মূলত এখানে রাখে। বর্তমানে এখানে প্রায় ৭০০ জন আসামি রয়েছে। যাদের মোট খুনের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার। হিসাব অনুযায়ী, গড়ে এখানে এক একজন কয়েদির বিরুদ্ধে গড়ে ৫টি করে খুনের অভিযোগ রয়েছে। এখানে এক একটি সেলের আয়তন ৫০ স্কোয়ার ফিটের কাছাকাছি। এক একটি সেলে দুজন করে আসামিকে রাখা হয়। রয়েছে তিনটি করে স্টিলের দরজা। 

এখানে যখন কয়েদিরে জেলের মধ্যে ঢোকানো হয় বা বের করা হয় সেখানেও রয়েছে এক অদ্ভূত রীতি। কোমর বেঁকিয়ে হাতে হাতকড়া পরিয়ে করা হয় এই কাজ। চোখে বেঁধে দেওয়া হয় কালো কাপড়। পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, রক্ষীদের উপর কোনওরকম আক্রমণ এড়াতেই এই কাজ করা হয়। এখানের কয়েদিদের দিনে ১৬ ঘণ্টা জেগে থাকতে হয়। না রয়েছে শোয়ার অনুমতি, না রয়েছে বসার অনুমতি, দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সারাক্ষণ। একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, এমনকী যে খাবার ও জল এখানে দেওয়া হয় তাও অত্যন্ত নিম্নমানের। 

এখানে সবাই সিরিয়াল কিলার 

রাশিয়ার পেটাক আইল্যান্ডের কারাগারও রয়েছে এই তালিকায়। এখানে বর্তমানে রয়েছেন ১৯৩ জন বন্দি। প্রত্যেকেই যাবজ্জীবনের সাজা খাটছেন। বেশিরভাগই সিরিয়াল কিলার। রাশিয়ার এই বন্দিশালাটিকে অনেকেই আবার অভিশপ্ত দ্বীপ হিসাবেও ডেকে থাকেন। দিনে মাত্র ২ ঘণ্টার জন্য বন্দিদের বের করা হয় সেল থেকে। 

থাইল্যান্ডের এই কারাগারের অবস্থা বস্তির থেকেও খারাপ 

অন্যদিকে থাইল্যান্ডের ব্যাঙকঙ সেন্ট্রাল জেলের নির্মম শাসনের কথা শুনলে আঁতকে উঠতে পারেন আপনিও। এই জেলটি তৈরি হয় ১৯৭২ সালে। থাইল্যান্ডের সবথেকে কুখ্যাত অপরাধীদের রাখা হয় এখানে। একাধিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে এখানে মূল মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের রাখা হয়। পা পরানো হয় লোহার বেড়ি। এখানে আবার রয়েছে ক্লাস স্টিটেম। ধনী কয়েদিদের নিজেদের খাবার কিনে খেতে হয়, গরিবদের খেতে হয় পরিশ্রম করে। দিনে কেবল একবারই খাবার দেওয়া হয়। তাও কেবল এক বাটি স্যুপ আর এক প্লেট ভাত। এমনকি কারাগারের পরিবেশ বস্তির থেকেও খারাপ। ঠিকভাবে বসার মতো জায়গাও পাওয়া যায়না। এই কারাগারের বন্দিরা প্রায় সারাবছরই অসুস্থ থাকে বলে জানা যায়।