AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nostrils: নাকের দুটি ছিদ্র কেন, একটা থাকলে কী সমস্যা হত? কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?

Nostrils: ঘ্রাণেন্দ্রিয় সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত সম্যক ধারণা নেই। এবার এক নতুন গবেষণায় ঘ্রাণেন্দ্রিয় সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য জানা গেল। 'কারেন্ট বায়োলজি' পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধ অনুযায়ী, আমাদের দুটি নাসারন্ধ্রই আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করে। তাদের আলাদা আলাদা কাজ আছে। ভিন্ন ভিন্ন গন্ধের অনুভূতি রয়েছে।

Nostrils: নাকের দুটি ছিদ্র কেন, একটা থাকলে কী সমস্যা হত? কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?
নাকের কেন দুটি ফুটো, জবাব পেলেন বিজ্ঞানীরা
| Edited By: | Updated on: Nov 12, 2023 | 6:25 PM
Share

ওয়শিংটন: আমাদের নাসারন্ধ্র, অর্থাৎ, নাকের ফুঁটো একটার বদলে দুটো কেন? একটা হলে কি কোনও সমস্যা হত? দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে মানুষ। আসলে, দর্শনেন্দ্রিয় বা শ্রবণেন্দ্রিয় কীভাবে কাজ করে, সেই বিষয়ে অনেক গবেষণা হলেও, ঘ্রাণেন্দ্রিয় সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত সম্যক ধারণা নেই। এবার এক নতুন গবেষণায় ঘ্রাণেন্দ্রিয় সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য জানা গেল। ‘কারেন্ট বায়োলজি’ পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধ অনুযায়ী, আমাদের দুটি নাসারন্ধ্রই আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করে। তাদের আলাদা আলাদা কাজ আছে। ভিন্ন ভিন্ন গন্ধের অনুভূতি রয়েছে।

প্রাণী এবং মানুষের ঘ্রাণেন্দ্রিয় বিষয়ক এর আগে যে গবেষণাগুলি হয়েছে, তার উপর ভিত্তি করে নয়া গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিটি নাসারন্ধ্র থেকে গন্ধের বিষয়ে পৃথক পৃথক সঙ্কেত পায় আমাদের মস্তিষ্ক। দুই নাসারন্ধ্র থেকে পাওয়া সঙ্কেত গ্রহণ করার পর, মস্তিষ্কে সেই দুই সঙ্কেত সংহত হয়ে একটি নির্দিষ্ট গন্ধের উপলব্ধি তৈরি হয়। কীভাবে আমাদের স্নায়বিক জালে গন্ধের মতো সংবেদনশীল তথ্য গৃহীত হয়। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যারো নিউরোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট এবং ওহায়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা করেছেন।

এর জন্য ১০ জন মৃগী রোগীকে পর্যবেক্ষণ করেছেন তাঁরা। এই রোগীদের প্রত্যেকের মস্তিষ্কে ইলেক্ট্রোড ইমপ্লান্টেশন করা হয়েছিল। পরীক্ষার সময়, প্রথমে অংশগ্রহণকারীদের একটি নাসারন্ধ্র দিয়ে তিনটি ভিন্ন ঘ্রাণ এবং অপর নাসারন্ধ্র দিয়ে গন্ধহীন বিশুদ্ধ বাতাস পাঠানো হয়েছিল। পরে, দুটি নাসারন্ধ্র দিয়েই একই ঘ্রাণ পাঠানো হয়। পুরো প্রক্রিয়ার সময়, গবেষকরা ইলেক্ট্রোডের মাধ্যমে মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করেন। কোন গন্ধ শনাক্ত করার জন্য মস্তিষ্ক কোন নাসারন্ধ্র ব্যবহার করেছে, ডান না বাম, নাকি দুটিই – তা পর্যবেক্ষণ করেন তাঁরা।

গবেষকদের পর্যবেক্ষণে বেশ কিছু চমকপ্রদ বিষয় উঠে এসেছে। দেখা গিয়েছে, যখন একই ঘ্রাণ দুটি নাসারন্ধ্র দিয়ে পৃথকভাবে পাঠানো হয়, মস্তিষ্কে একইরকম প্রতিক্রিয়া হয় না। এর থেকে বোঝা গিয়েছে, দুটি নাসারন্ধ্র স্বাধীনভাবে কাজ করে। একসঙ্গে যুক্ত নয়। এছাড়া, দুই নাসারন্ধ্রের মধ্য দিয়ে একযোগে কোনও গন্ধ পাঠালেও, মস্তিষ্কে দুটি স্বতন্ত্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এর থেকে গবেষকরা সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, নাকের দুটি ছিদ্র সবসময় একে অপরের সঙ্গে সুসংগতভাবে কাজ করতে পারে না। গবেষণায় আরও জানা গিয়েছে, দুই নাসারন্ধ্রের ব্যবহারে কোনও নির্দিষ্ট গন্ধ শনাক্ত করার প্রক্রিয়া আরও উন্নত হয়েছে। মস্তিষ্ক আরও দ্রুত প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মানুষের দুটি চোখ বা দুটি কান থাকার যে সুবিধা, দুটি নাসারন্ধ্র থাকারও সমান সুবিধা রয়েছে।