Titanic’s Dinner Menu: কী খেতেন টাইটানিক জাহাজের প্রথম শ্রেণির যাত্রীরা? দেখে নিন খাদ্যতালিকা

Titanic's Dinner Menu: শনিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায়, ইংল্যান্ডে নিলামে তোলা হল এই খাদ্যতালিকা। ব্রিটেনের 'দ্য গার্ডিয়ান' সংবাগপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, দাম উঠেছে ৮৩,০০০ পাউন্ড, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৮৪.৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু, কী ছিল সেই খাদ্য তালিকায়? টাইটানিকের মতো বিলাসবহুল জাহাজে, কী খাবার দেওয়া হত প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের?

Titanic's Dinner Menu: কী খেতেন টাইটানিক জাহাজের প্রথম শ্রেণির যাত্রীরা? দেখে নিন খাদ্যতালিকা
ডুবে যাওয়ার তিনদিন আগেই এই খাদ্য তালিকা দেওয়া হয়েছিল টাইটানিকেImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 12, 2023 | 7:39 PM

লন্ডন: টাইটানিক! ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল, তার প্রথম সমুদ্রযাত্রাতেই এক হিমশৈলে ধাক্কা খেয়ে সলিল সমাধি ঘটেছিল আটলান্টিকের বুকে। ডুবে যাওয়ার ১০০ বছর পরও, এই জাহাজ নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। এমনকি, চলতি বছরেও টাইটানিকের ধ্বংসাবেশেষ দেখতে গিয়ে, প্রায় একই জায়গায় একটি ডুবো জাহাজ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এবার, সামনে এল আরএমএস টাইটানিকের প্রথম-শ্রেণীর নৈশভোজের খাদ্য-তালিকা। শনিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায়, ইংল্যান্ডে নিলামে তোলা হল এই খাদ্যতালিকা। ব্রিটেনের ‘দ্য গার্ডিয়ান’ সংবাগপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, দাম উঠেছে ৮৩,০০০ পাউন্ড, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৮৪.৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু, কী ছিল সেই খাদ্য তালিকায়? টাইটানিকের মতো বিলাসবহুল জাহাজে, কী খাবার দেওয়া হত প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের?

যে খাদ্যতালিকাটি নিলাম করা হল, সেটি ছিল অভিশপ্ত রাতের তিনদিন আগের, অর্থাৎ, ১১ এপ্রিলের। ডুবন্ত জাহাজ থেকে লাইফবোটে উঠে প্রাণ বাঁটানোর সময়, কে সযত্নে ওই খাদ্যতালিকাটি সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। খাদ্য তালিকায় ‘ভিক্টোরিয়া পুডিং’ নামে একটি খাদ্যের নাম রয়েছে। সেটি কী ধরনের খাদ্য সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জানা গিয়েছে, এটি এক ধরণের মিষ্টি। ময়দা, ডিম, জ্যাম, ব্র্যান্ডি, আপেল, চেরি, খোসা, চিনি এবং মশলার মিশ্রণ দিয়ে এই মিষ্টি পদ বানানো হত। এছাড়া, মিষ্টি খাবার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল এপ্রিকট এবং ফ্রেঞ্চ আইসক্রিম। এছাড়া খাদ্যতালিকায় ছিল, স্যামন, গরুর মাংস, হাঁস এবং মুরগির মাংস, আলুর পদ, ভাত ইত্যাদি।

টাইটানিকের প্রথম শ্রেণির মেনু

মজার বিষয়, খাদ্যতালিকাটিতে জলের দাগ লেগে রয়েছে। আছে, টাইটানিক জাহাদের পরিচালন সংস্থা ‘হোয়াইট স্টার’-এর লোগোও। আয়ারল্যান্ডের কুইন্সটাউন থেকে আমেকরিকার নিউ ইয়র্ক শহরের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর পরের রাতেই এই খাদ্যতালিকা দেওয়া হয়েছিল প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের। ‘হেনরি অ্যালড্রিজ অ্যান্ড উইল্টশায়ার সনস’ সংস্থা এই খাদ্যতালিকা নিলাম করেছে। নিলাম সংস্থাটির ম্যানেজার অ্যান্ড্রু অ্যালড্রিজ জানিয়েছেন, ইতিহাসবিদ লেন স্টিফেনসনের একটি পুরোনো ফটো অ্যালবামে এই খাদ্যতালিকাটি ছিল। তাঁর মতে, টাইটানিকের প্রথম-শ্রেণির এই একটি খাদ্যতালিকায় অবশিষ্ট রয়েছে। তিনি বলেছেন, “আমি গোটা বিশ্বের বেশ কয়েকটি জাদুঘরের সঙ্গে কথা বলেছি। টাইটানিক সংগ্রাহকদের সঙ্গেও কথা বলেছি। অন্য কোথাও আমি টাইটানিকের কোনও খাদ্যতালিকা আছে বলে খুঁজে পাইনি।”

খাদ্যতালিকাটির সঙ্গে, একটি টার্টান ডেক কম্বল-সহ টাইটানিক জাহাজের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন নিদর্শন নিলাম করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিগুলি ওই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাত্রীদের ব্যক্তিগত মালিকানা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে, টাইটানিকের সঙ্গে জড়িত জিনিসগুলি এইভাবে ব্যক্তিগত সংগ্রহে রাখার জন্য নিলাম করা নৈতিক কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্লাইমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক হ্যারি বেনেট। তিনি জানিয়েছেন, এই জিনিসগুলির অনেকগুলিই টাইটানিকের মৃত যাত্রীদের দেহ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, “এই জিনিসগুলি ব্যক্তিগত হাতে থাকার থেকে জাদুঘরে রাখা ভাল। তাতে অন্তত জিনিসগুলি প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানতে পারবেন মানুষ।”