Omicron Variant: লড়াই থেমে যাবে ওমিক্রনের! চার নতুন অ্যান্টিবডির খোঁজ পেয়ে আশা জাগছে গবেষকদের
Omicron Variant: করোনা নিত্যনতুন ভ্যারিয়েন্টকে কাবু করতে পারবে এই সব অ্যান্টিবডি, এমনটাই আশা গবেষকদের।
নিউ ইয়র্ক : শুরুতে ভাইরাসটাকেই চিনতে বেগ পেতে হয়েছিল গবেষকদের। আর সেই করোনা ভাইরাস যতই দিন যাচ্ছে, তত রূপ বদলাচ্ছে। ডেল্টার দাপাদাপি শেষ না হতেই কার্যত গোটা বিশ্বকে কাবু করে ফেলেছে আরও এক নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন (Omicron)। সেই ভ্যারিয়েন্টকে কী ভাবে পরাস্ত করা যায়, এই নিয়েই নিরন্তর গবেষণা চলছে। এবার এবার মার্কিন বিশেষজ্ঞরা খুঁজে বের করলেন এমন এক অ্যান্টিবডি (Antibody), যা ওমিক্রনকেও কাবু করতে পারে।
তবে শুধু ওমিক্রন নয়, পরবর্তীতে যদি ভাইরাসের আরও কোনও নতুন রূপ বেরিয়ে আসে তাদের সঙ্গেও লড়াই করতে পারবে ওই সব অ্যান্টিবডি। এর ফলে নতুন টিকা বা আর উন্নত মানের ওষুধ আবিষ্কার করার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন গবেষকরা। আলাদাভাবে ভ্যারিয়েন্টগুলির সঙ্গে লড়াই করার হাতে তেমন কোনও টিকা বা ওষুধ নেই। তাই ভাইরাসের অধিক শক্তিশালী নতুন রূপগুলি নিয়ে চিন্তা বাড়ছে চিকিৎসকদের।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার’-এ একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পেয়েছে। আমেরিকার ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিন ও ওষুধ সংস্থা ‘হিউম্যাব্স বায়োমেড’ এবং সুইৎজারল্যান্ডের ‘ভির বায়োটেকনোলজি’ যৌথ ভাবে ওই গবেষণা চালিয়েছে।
ওই গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ভাইরাসে এমন স্পাইক প্রোটিনের জায়গা রয়েছে যেগুলি কোনও ভাবেই বদলায় না, তা সে ভাইরাসের যতই মিউটেশন হোক। গবেষকরা এই প্রথম জানতে পারলেন মানবদেহে এমন চারটি শ্রেণির অ্যান্টিবডি রয়েছে যা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের সেই বিশেষ জায়গাগুলিকে অতিমারির পর গত দু’বছরে চিনে নিয়েছে। তাই স্পাইক প্রোটিনের সেই বিশেষ জায়গাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য এ সব অ্যান্টিবডি বেশ কার্যকর হতে পারে। এই বিশেষ জায়গাগুলির মিউটেশন হলে ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনই পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে মনে করথেন গবেষকরা। এর ফলে ওই বিশেষ অংশগুলির কোনও মিউটেশন হয় না।
করোনাভাইরাসের নতুন ‘বি.১.১.৫২৯’ প্রজাতিরই নাম ওমিক্রনয এটিকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদ্বেগজনক বা ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। নতুন এই ভেরিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞদের। দক্ষিণ আফ্রিকা ও বৎসোয়ানাতেই প্রথম ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। দেখা যায়, টিকাপ্রাপ্তরাই নতুন এই প্রজাতির দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই ভ্যারিয়েন্টে ৫০টি মিউটেশন বা জিনগত পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ টিরও বেশি মিউটেশন হয়েছে শুধুমাত্র স্পাইক প্রোটিনে।
একমাসেই বিশ্বের ১১৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট। ভারতেও হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ পার করেছে। এখনও পর্যন্চ ৬৫৩ জন এই ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।