Bangladesh launch fire: মিলল আরও দু’জনের দেহ, লঞ্চমালিক সহ আটজনের নামে মামলা রুজু
Bangladesh Ferry fire: উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এক যাত্রীবাহী লঞ্চে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ অভিযান–১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তিনতলা ওই লঞ্চে প্রায় এক হাজার যাত্রী ছিল।
ঢাকা: গত সপ্তাহেই বাংলাদেশে ঘটেছিল এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। অভিযান ১০ লঞ্চে লেগেছিল মারাত্মক আগুন। অনেক লোক প্রাণ হারানোর পাশাপাশি নিখোঁজও হয়েছিলেন অনেকে। আজ মঙ্গলবার, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুপর দেড়টা নাগাদ, এক কিশোরের নিথর দেহ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। এখনও অবধি মৃত কিশোরের পরিচয় জানা যায়নি।
উদ্ধারের পরই তাঁর দেহ লঞ্চঘাটে নিয়ে আসা হয়। আজ সকালেই ৩০ থেকে ৩২ বছর বয়সী আরও এক যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে মৃত যুবকের মুখের অনেকটাই আগুনে পুড়ে গিয়েছে। এ নিয়ে গত দুই দিনে সুগন্ধা ও বিষখালী নদী থেকে দুটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আজ উদ্ধার হওয়া মৃত দেহ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের মোট সংখ্যা ৪১ হয়েছে। অন্যদিকে গতকাল এই লঞ্চের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিখোঁজ এক যাত্রীর আত্মীয় মনির হোসেন, লঞ্চের মালিক, চালক সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এক যাত্রীবাহী লঞ্চে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ অভিযান–১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তিনতলা ওই লঞ্চে প্রায় এক হাজার যাত্রী ছিল। অভিযান লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও স্পষ্ট করে জানা না গেলেও লঞ্চের ইঞ্জিনের ঘর থেকেই আগুন লেগেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশের নৌপরিবহন মন্ত্রকের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক তদন্ত উঠে এসেছিল, যে লঞ্চটিক ইঞ্জিনে সমস্যা ছিল।
রবিবার, বাংলাদেশের নৌপরিবহন মন্ত্রকের সচিব তোফায়েল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, “লঞ্চের ইঞ্জিনে আমরা ত্রুটি খুঁজে পেয়েছি।” তদন্তে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, ওই লঞ্চটি যে চালকের চালানোর কথা ছিল দুর্ঘটনার সময় সেই চালক লঞ্চটি চালাচ্ছিলেন না। এই বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে তদন্ত কমিটি। নৌপরিবহন দফতরের আধিকারিক মেহবুব রসিদ জানিয়েছিলেন, অভিযান-১০ লঞ্চের চারজন মাস্টার ও ড্রাইভারের মধ্যে তিনজনের নিয়োগের বিষয়টি মালিক সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানাননি। যাঁর নাম ছিল, তাঁর পরিবর্তে অন্য আরেকজন লঞ্চটি চালিয়েছে। এটা রীতিমতো নিয়ম লঙ্ঘন।
আরও পড়ুন Omicron Variant: লড়াই থেমে যাবে ওমিক্রনের! চার নতুন অ্যান্টিবডির খোঁজ পেয়ে আশা জাগছে গবেষকদের