একই দিনে হাসিনার সঙ্গে নমোর বৈঠক ও চিনা মন্ত্রীর ঢাকা সফর! কূটনৈতিক অভিসন্ধি দেখছেন বিশেষজ্ঞরা
২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি। সেখানে ইতিমধ্যেই আমন্ত্রিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi)।
TV9 বাংলা ডিজিটাল: ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি। সেখানে ইতিমধ্যেই আমন্ত্রিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi)। তবে তার আগেই অবশ্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নমো। সম্ভবত ১৭ ডিসেম্বর ভার্চুয়াল বৈঠক হবে নমো ও হাসিনার মধ্যে।
আগামী বছর ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসেই ঢাকা যেতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। ১৭ ডিসেম্বরের ভার্চুয়াল বৈঠকে একাধিক মৌ স্বাক্ষর করতে পারেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি সীমান্তে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন দুই রাষ্ট্র প্রধান। ভার্চুয়াল বৈঠকের আগে দিল্লি আসবেন বাংলাদেশের বিদেশ সচিব। ১৭ ডিসেম্বর ভার্চুয়াল বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে ৯০ শতাংশ আশাবাদী বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। তবে এখনই বৈঠকের দিন নিশ্চিত করে বলেননি বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী ডঃ একে আব্দুল মোমেন।
এই বছর বাংলাদেশে মুজিববর্ষ পালন হচ্ছে। সেখানে নরেন্দ্র মোদীর যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেই সফর হয়নি নমোর (Prime Minister Narendra Modi)। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় দূত নিশ্চিত করেছেন যে ভার্চুয়াল বৈঠক হলেও সশরীরে ২৬ মার্চ বাংলাদশ আসার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের উন্নতি মানেই ভারতের উন্নতি। কেউ এই সম্পর্ক নষ্ট করতে পারবে না।”
আরও পড়ুন:বাইডেন না রবার্ট ব্রুশ! তোতলা ছেলের ‘শ্বেত প্রাসাদ’ অভিযান, ব্যর্থতা থেকে সাফল্যের গল্প
অন্য দিকে নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনার সম্ভাব্য় বৈঠকের দিনই বাংলাদেশে আসতে পারেন চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গি। ২৯ নভেম্বর এই সফর হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও কাঠমাণ্ডু সফর শেষ করে ঢাকা আসেননি তিনি। সেক্ষেত্রে ১৭ ডিসেম্বর মোদী-হাসিনার বৈঠকের পাশাপাশি চিনা মন্ত্রীরও বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনায় জল্পনা কূটনৈতিক মহলে। লাদাখ সীমান্তে এখনও উত্তেজনা অব্যাহত ভারত ও চিনের মধ্যে। সেই আবহেই একই দিনে চিনা মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর ও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে হাসিনার বৈঠক! যা আসলে বাংলাদেশের কূটনৈতিক অভিসন্ধির বার্তা হিসাবে দেখছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।