Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh: জিনপিং কি জিনিস! হাসিনাকে ‘না’, ইউনূসকে ‘হ্যাঁ’! একটা সইয়ে বেরিয়ে গেল আসল রূপ

Bangladesh: শুক্রবার সেই নিয়ে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে হয়ে গিয়েছে বৈঠকও। বাংলাদেশের প্রেস সচিব জানাচ্ছেন, একাধিক সমঝোতাপত্র সাক্ষর, চুক্তি সাক্ষর। সব মিলিয়ে 'অত্যন্ত সফল' হয়েছে ইউনূসের চিন-সফর।

Bangladesh: জিনপিং কি জিনিস! হাসিনাকে 'না', ইউনূসকে 'হ্যাঁ'! একটা সইয়ে বেরিয়ে গেল আসল রূপ
প্রতীকী ছবিImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Mar 29, 2025 | 1:00 PM

ঢাকা: মঙ্গলবার বাংলাদেশ হয়ে চিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। চারদিনের সফরে বেজিং পাড়ি দেন তিনি। বাংলাদেশের অন্দরে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে দেশের বিনিয়োগের পালে ‘চিন সাগরের’ হাওয়া দিতেই শিয়ের কাছে দ্বারস্থ হন তিনি।

শুক্রবার সেই নিয়ে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে হয়ে গিয়েছে বৈঠকও। বাংলাদেশের প্রেস সচিব জানাচ্ছেন, একাধিক সমঝোতাপত্র সাক্ষর, চুক্তি সাক্ষর। সব মিলিয়ে ‘অত্যন্ত সফল’ হয়েছে ইউনূসের চিন-সফর। সম্ভবত শনিবার দেশে ফেরার তোড়জোড় করবেন ইউনূস।

প্রায় এক বছর আগে ইউনূসের মতো কিন্তু চিন সফরে গিয়েছিলেন আরও একজন। তিনি শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে তাঁর সরকার ধূলিসাৎ হয়েছে। একটা গণআন্দোলনে মাটিতে মিশে গিয়েছে হাসিনার ‘সাম্রাজ্য’। তিনি নিজেও এখন দেশছাড়া। অবশ্য, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন নিয়ে যত তাপ বাড়ছে, ততই তলে তলে আওয়ামি লীগ নিজেদের ‘হারিয়ে ফেলা’ শক্তি সঞ্চয়ের ব্যবস্থা করছে।

গতবছর জুলাই মাসে চিন সফরে গিয়েছিলেন হাসিনা। সেই সময় বাংলাদেশের অন্দরে তৈরি হয়েছিল ভারতবিরোধী আবহ। রাস্তায় রাস্তায় চলছিল ভারতবিরোধী স্লোগান। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই আবহেই হাসিনাও খানিকটা হয়ে উঠেছিলেন ‘চিনপন্থী’। ভারত সফর সেরে দেশের আবহকে কাজে লাগিয়ে গিয়েছিলেন চিনে বিনিয়োগ টানতে। যেমনটা ইউনূস গিয়েছেন।

কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার সফর ‘ফলপ্রসূ’ হলেও, হাসিনার হয়নি। চার দিনের সফর শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরে এসেছিলেন তিনি। প্রশাসনিক মহল তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছিল, ব্যক্তিগত কারণেই দেশে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। তবে হাসিনার সময়ের আগে প্রত্যাবর্তনকে কোনও মতেই সহজভাবে দেখেননি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। একাংশের দাবি, চিনের প্রতি ‘ক্ষুণ্ণ’ হয়েই দেশে ফিরেছিলেন তিনি।

ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাসিনাকে দেওয়া আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি রাখেনি বেজিং। তাই ‘মনকষ্ট’ নিয়েই বাড়ি ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। কেউ কেউ আবার বলেন, চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক হলেও, তাতে মনঃপুত হননি হাসিনা।

এই ঘটনার প্রায় এক বছর পর যখন ইউনূস পাড়ি দিলেন চিনের উদ্দেশ্যে, তখন যেন আকাশছোঁয়া প্রাচীর সরিয়ে তাঁকে সাদরে আমন্ত্রণ জানালেন শি জিনপিং। তবে কি সেই সময় বাংলাদেশের অন্দরের আবহটা আগেই টের পেয়ে গিয়েছিলেন শি? সে দেশে যে কিছু একটা বদল হতে চলেছে, তা বুঝতে পেরেই নিজেকে আগেভাগেই হাসিনাপন্থী ‘তকমা’ থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি? বলে রাখা ভাল, হাসিনা দেশে ফিরতেই দিন কয়েকের মধ্যে কোটা আন্দোলন নিয়ে চড়ে পারদ। এমনকি, হাসিনা যখন ভারত হয়ে চিন সফরে। তখনই একটু একটু করে নিজের আঁচ বাড়াচ্ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।